পাহাড়ের পুরনো গৌরব ফেরাবে তুলা। সে গৌরব ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছ বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড।
বুধবার সকালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলা গবেষণা, তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও বাজারজাত করণের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তুলা বোর্ডের কর্মকর্তারা।
তুলা কর্মকর্তারা বলেন, পাহাড়ে তুলা চাষের ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে তুলার ফলন অভাবনীয়। বিভিন্ন টেক্সটাইল মিলে পাহাড়ে উৎপাদিত তুলার ব্যপক চাহিদা আছে। কোন তুলা অবিক্রীত থাকে না। যখন তখন তুলা বিক্রি করা যায়। এটি পচে নষ্ট হবে এমন নয়। সব তুলাচাষী লাভবান হয়। পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন তুলা বোর্ডের কার্যালয় তুলা চাষীদের তুলা বীজ সরবরাহ করার পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম তুলার গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। তুলার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি নাম কার্পাস মহল। এখানে তুলা চাষের ব্যপক সম্ভাবনা আছে। সে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। তুলা চাষ সম্প্রসারণ, বাজারজাত করণের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা করা হবে।
কর্মশালা শুরুতে তুলা চাষের উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ পরিচালক নাছির উদ্দীন আহমেদ।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা তুলা বোর্ডের সমন্বয়ক অংসুই ছাইন চৌধুরী, রাঙামাটি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত পরিচালক মো নাসিম হায়দার, রাঙামাটি প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল।
কর্মশালায় প্রত্যক্ষ তুলাচাষীরা বলেন, তুলা নিয়ে চাষীদের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা আছে। তারা মনে করে তুলা হাল্কা জিনিস। লাভ হবে না। কিন্তু বাস্তব অর্থে তা নয়। এক বিঘা জমিতে তুলা চাষ করলে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয় কিন্তু খরচ বাদে লাভ হয় ৪০-৪৫ হাজার। এটি বিক্রয়ে কোন ঝামেলা নেই।