মারমা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গিরিকন্যা’ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে।
উৎসব মুখর পরিবেশে গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালার তংসে পাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে ” এ চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এদিন গিরিকন্যার” কাহিনীকার ও প্রযোজক ঐ এলাকার কৃতি সন্তান ডাঃ মং উষা থোয়াই মারমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় ডাঃ মং উষা থোয়াই মারমা বলেন,পার্বত্য অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্মোচিত করার নিদর্শন হিসেবে মারমা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গিরিকন্যা’ছবিটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। , ‘আমাদের দেশের মারমা ও অন্যান্য সম্প্রদায়কে নিয়ে এই প্রথম একটি কাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র নির্মিত করেছি।
বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে মারমা ভাষার এই চলচ্চিত্র ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
আমি এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভীষণ উৎসাহিত হয়েছি। এই চলচ্চিত্রে কোন তারকা শিল্পী নেই। আছে পাহাড়ের মানুষের ভালোবাসা, প্রকৃতিপ্রেম আর দৃঢ়তা। মারমা জনগোষ্ঠীর প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে মারমা ভাষায় প্রথম চলচ্চিত্র “গিরিকন্যা”। বাংলাদেশে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর ভাষাকে রক্ষা করতে আমরা এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি
আমাদের দেশে যে সকল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী আছে তাদের মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা ও সন্মান জানাতেই আমাদের এই কর্ম প্রয়াস।
বাঙালি জাতি মায়ের ভাষার জন্য রাজপথে রক্ত দিয়ে প্রমান করেছে যে, সব মানুষের মাতৃভাষার অধিকার সমুন্নত রাখা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব।
পাকিস্তানী শাষকেরা ভাষার প্রশ্নে যখন গুলি চালিয়েছে সে রক্ত স্রোত আজ বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌছে গেছে।
তাই আমাদের ভুখন্ডে যে সকল ভাষার অস্তিত্ব আছে সেই সব মানুষের মায়ের ভাষাকে সন্মান জানানোর জন্য এটি একটি উদ্যোগ মাত্র।
শুধু তাই নয়, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ভাষা বিলুপ্তির পথে। তাছাড়া এ ছবিটির কাহিনিতে স্থান পাবে পরিবেশ রক্ষার প্রত্যয়।
এর গল্প অবলম্বনে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি দেশের সকল মানুষের কাছে গ্রহযোগ্য হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সাবেক মেম্বার মংনুচিং মারমা সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন, বান্দরবান পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী
মংসুইখই মারমা, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদৌমং মারমা, ,গণমাধ্যম কর্মী মাহাফুজ আলম, রিপন মারমা প্রমুখ।