সারাদেশে এখন বেড়েছে শীতের প্রকোপ। রাঙামাটিতেও বয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তারই ধারাবাহিকতায় কাপ্তাই উপজেলাও শীত জেঁকে বসেছে প্রতিটি পল্লীতে। এই অবস্থায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে মানবতার হাত প্রসারিত করেছেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান।
কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নে তিনি দিনের বেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসলেও এবার মধ্যরাতে অসহায় ও শীতার্ত পরিবারের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তিনি শীতবস্ত্র তুলে দেন।
গত মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৯টা হতে মধ্য রাত পর্যন্ত তিনি কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কলেজ গেইট, স্টেডিয়াম পাড়া, বড়ইছড়ি সহ বিভিন্ন পল্লী এবং পথের ধারে ঘুমিয়ে থাকা সহায় সম্বলহীন মানুষের গায়ে জড়িয়ে দেন উষ্ণ পরশ। অনেকে মধ্যরাতে উপজেলা প্রশাসনের এই কর্তাব্যক্তিকে পেয়ে হতবাক হন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এই প্রতিবেদককে জানান, পাহাড়ী অঞ্চলে শীতকালে রাত ৯ টা মানে গভীর মধ্যরাত।বেশিরভাগই পাহাড়ে জুমচাষ করে দিনযাপন করা মানুষগুলোর দিন শুরু হয় কাকডাকা ভোরে। সন্ধ্যা নামলেই খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমের প্রস্তুতি নেন তারা। আর বাকি কিছু মানুষের কথা না বললেই না। অব্যবহৃত যাত্রিছাউনী বা বন্ধ দোকানের সামনের ভাংগা চৌকিতে গায়ে পলিথিন মুড়িয়ে থাকা মানুষগুলোকে দেখলে নিজের খুব কষ্ট লাগে। মহান সৃষ্টিকর্তা কত ভালো রেখেছেন আমাদের। নাওয়া খাওয়া নেই,নেই পরিবার পরিজন। কোথা থেকে আসছেন তারা সে খোজ খবরও কে রাখে? এই ছিন্নমুল বা গরীব মানুষগুলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উষ্ণতার পরশ গায়ে জড়িয়ে দিতেই তাদের হাসিটা প্রাণ কেড়ে নেয়। দুহাত তুলে তারা প্রার্থনা করেন সৃষ্টিকর্তার কাছে।
কম্বল বিতরণে আরো উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন উদ্যানতত্ত্ববিদ রাশেদুজ্জামান ইমরান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিপু চন্দ্র দাশ।