জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মাণে উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন বোধ করেছিলেন। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের প্রেতাত্মারা তাঁকে সপরিবারে নির্মমভাবে খুন বাংলাদেশকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিলো। ‘৭৬ থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত যারা দেশ শাসন করেছিলেছিলো; তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্তি দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য আজীবন কাতর ছিলেন। তাই তিনি ১৯৯২ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানছড়ির লোগাং সফরের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শান্তির বীজ বপন করেছিলেন।
বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আনন্দ সোম’র সভাপতিত্বে গুইমারা হাইস্কুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান ফারুক, গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা এবং খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সা. সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা অপু আরো বলেন, বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ‘বিএনপি-জামাত’র দু:শাসনের সময় ছাত্রলীগই সবার আগে মাঠে-ময়দানে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নেমেছিলো। ভবিষ্যতেও ছাত্রলীগকেই এ দেশের স্বাধীনতা এবং অসাম্প্রদায়িকতার লড়াইয়ে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরা’র উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়ে সূচিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা সুইমং মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল বাহার ও সা. সম্পাদক মংসাপ্রু মারমা এবং জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মনির হোসেন।
এর আগে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য জাতীয় পতাকা, ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে সম্মিলিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
সম্মেলনে রেজাউল করিম শুভকে সভাপতি এবং সাচিং মারমাকে সা. সম্পাদক মনোনীত করে ১৮ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।