রাঙামাটিতে পাহাড়ি বাঙালি সংঘাতে অগ্নিকান্ড ও ভাংচুরে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০-১২ কোটি টাকার অধিক হতে পারে। গত ২০ সেপ্টেম্বর সহিংসতার পর থেকে সরকারী ভাবে এই সব ক্ষয়-ক্ষতির জরিপ করছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। পাহাড়ি বাঙালি সহিংসতায় ক্ষুদ্ধ দু’পক্ষের লোকজনের হামলায় শহরের মধ্যে অগ্নিসংযোগ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে তান্ডব লীলা চালানো হয়েছে। এক উপজাতি যুবকের মৃত্যুসহ পাহাড়ি বাঙালি দু’পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ ৬৪ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এস আই এহেসানসহ তার টিম সংঘর্ষে ক্ষয়-ক্ষতির জরিপ করছে। ওই দিনের ঘটনায় অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাংচুর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৯৫টির মত পাওয়া গেছে। হয়তো আরো থাকতে পারে। তবে গুলোই নিরুপন করা হবে। এই তাালিকা থেকে কেউ বাদ যাবে না। নিহত এবং আহতদের ও তালিকা করা হয়েছে। আহত বা নিহতের তালিকায় অজান্তে কেউ বাদ পড়লে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে জানাতে পারেন।
এঘটনার পর জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক বাকি ৬জনকে সদস্য করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।তদন্ত শেষ করে এই কমিটি একটি প্রতিবেদন জমা দেবে জেলা প্রশাসককে। জেলা প্রশাসক ওই তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে উচ্চ মহলে কথা বলবেন। তার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। রিজিয়ন কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার, রাঙামাটি, কর্ণেল জিএস ডিজিএফআইয়ের একজন প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের একজন, সদর জোনের একজন প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে,গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঘটে যাওয়া পাহাড়ি বাঙালি সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও আহতসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০-১২ কোটি টাকার মত ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে এখনো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমানের জরিপ চলছে। ব্যাপারে পাহাড়ি বাঙালি সবার সহওেযাগিতা চায় প্রশাসন।