রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিয়েছে দলটির কেন্দ্র। সম্মেলনের দীর্ঘ ১০ মাস পর দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে ২১ মার্চ এ নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, সভাপতির নির্দেশক্রমে ২১ মার্চ রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ২৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিসহ ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। অনুমোদিত কমিটিতে একাধিক পদে স্থান হয়েছে ২৭ জনের এবং গত কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন ১৬ জন। সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতব্বরসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রুহুল আমিন, নিখিল কুমার চাকমা, বৃষ কেতু চাকমা, অংসুইপ্রু চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, অংচাপ্রু মারমা,হাজি মো. কামাল উদ্দিন, রফিকুল মাওলা, ত্রিদিব কান্তি দাশ ও শিলা রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা, মফিজুল হক, মো. মমতাজুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. ইফসুফ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক দানবীর চাকমা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক মো. রফিক আহমদ তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিুবর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অরুন বিকাশ চাকমা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারা আক্তার জাহান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, চিত্ত রঞ্জন দাশ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. শাহ আলম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল আলম সাইদুল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার, শ্রম সম্পাদক মো. হানিফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেমলিয়ানা পাংখোয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ঝিনুক ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামশুদোহা চৌধুরী, মিন্টু মারমা ও মো. শাওয়াল উদ্দিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. শহিদুজ্জামান মহসীন রোমান, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী আল মাহবুব, কোষাধ্যক্ষ ছলিম উল্লাহ সেলিম এবং ৩৬ জন সদস্য।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ মে অনুষ্ঠিত হয় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এতে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর পুনর্নির্বাচিত হন। সম্মেলন পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু কমিটি গঠন নিয়ে দলের মধ্যে মতভেদ দেখা দেওয়ায় নতুন কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা ঘটে বলে জানা যায়। এবার সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা। দীপংকর ১৯৯৬ সাল থেকে একাধারে টানা সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। এবারও দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নিখিল সরে যাওয়ায় আবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সাধারণ সম্পাদক পদে হাজি মো. কামাল উদ্দিনকে হারিয়ে আবার জয়ী হয়েছিলেন হাজি মো. মুছা মাতব্বর।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতব্বর বলেন, কেন্দ্র ২১ মার্চ কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এজন্য দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।