সোমবার , ৩ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটিতে বৈসুক সাংগ্রাই বিজু উৎসব শুরু

প্রতিবেদক
রিকোর্স চাকমা, রাঙামাটি
এপ্রিল ৩, ২০২৩ ৮:১২ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে পাহাড়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক সাংগ্রাই বিজু বিষু উৎসব।

সোমবার বিকালে রাঙামাটি শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা ও বেলুন উড়িয়ে এ উৎসবের সূচনা করা হয়। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি সংসদ দীপংকর তালুকদার।

এরপর পরই নাচে গানে মেতে উঠেন পাহাড়িরা। এর আগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের আয়োজনে রাঙামাটি সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গন থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইন্সষ্টিটিউট প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে বিজু-সাগ্রাই- বৈসুক- বিষু-বিহু মেলা উৎসবের শুভ উদ্বোধন, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অং সুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে ফিতা কেটে বেলুন ও শান্তি পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।

বিজু উৎসবকে কেন্দ্র করে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটে বসেছে মেলা। এ মেলায় আদিবাসীদের বিভিন্ন খাবার অলঙ্কারসহ ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র প্রদর্শনী করছে। পাহাড়িদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগী করতে সমতল থেকে আসা মানুষও যোগ দিয়েছে এ উৎসবে। পাহাড়িদের এ আয়োজন দেখে মুগ্ধ তারা।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর এ সংস্কৃতি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সম্মৃদ্ধ করেছে।

বাংলার পুরাতন বছরকে বিদায় নতুন বর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে পাহাড়িরা ১৫ দিন ব্যাপী উৎসব করে থাকে। মুল উৎসব হয় ৩০ চৈত্র। পাহাড়ি নেতৃবৃন্দরা বলছেন পাহাড়িদের এ উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরো মুজবত করে। এজন্য এ উৎসব দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ। রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, সোমবার শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। চলমান এ উৎসবে আদিবাসী কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটে প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হচ্ছে আদিবাসীদের পরিবেশনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

১২ এপ্রিল কাপ্তাই কাপ্তাই হ্রদে ভাসানো হবে ফুল। আগামী ১৬ এপ্রিল রাঙামাটির বাঙাল হালিয়ায় মারমাদের জল উৎসবের মধ্যে শেষ হবে পাহাড়ের এ উৎসব।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: