খাগড়াছড়িতে ঠাকুরছড়া জাগরণ ক্লাব ও পাঠাগারের আয়োজনে উৎবমূখর পরিবেশে তৈবুংমা-অ-খুম বগনাই উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (১৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ঠাকুরছড়াস্থ চেঙ্গী নদীতে এ উৎসব পালন করা হয়। এ উৎসবে শত শত নারী-পুরুষ, বিভিন্ন বয়সী তরুণ তরুণী ও ঠাকুরছড়া এলাকাবাসীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
এ উপলক্ষে নদীতে পুষ্প অর্পনকালে উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রজ্জ্বল ত্রিপুরা বলেন, আজ ত্রিপুরাদের বিসিকাতাল দিনকে ঘিরে আমরা প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও এই গঙ্গাদেবীকে পুজা ও পুষ্প অর্পন করে থাকি এলাকা, জাতি, সমাজ, দেশসহ সারাবিশ্বের মঙ্গল কামনা করে থাকি।
এ দিনে আমরা সকল ভেভাভেদ ভুলে গিয়ে নদীতে এসে মা গঙ্গাদেবীর কাছে পুষ্প অর্পনের মাধ্যমে সার্বিক মঙ্গল কামনা করে থাকি। এদিন আমরা পুরোনো সকল বিবাদ ভুলে গিয়ে পরস্পরের বাড়িতে মিষ্টান্নসহ নানা ধরনের মুখোরোচক খাবার পাঠাই এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। এই উৎসবের প্রধান আকর্যণ থাকে জনপ্রিয় খাবার ‘গণত্মক বা পাচন’। এর পাশাপাশি থাকে নানা ধরনের পিঠা, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। এছাড়া ২৫ থেকে ১০৮ ধরনের সবজি ও বিভিন্ন উপকরণ সংমিশ্রণে তৈরি হয় বিশেষ ধরেনর খাবার। এদিন অসহায় লোকদের মাঝে উন্নতমানের খাবার,নতুন কাপড় বিতরণ করা হয়। গ্রামের মানুষ গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়ায় এবং পরস্পরে কুশালাদি বিনিময় করে। এই দিনে সকল শ্রেণির মানুষ সাধ্যমত নিজেদের ঐতিহ্যবাহী রিনাই-রিসা,ধ্যূতি- পাঞ্জাবি পরিধান করে থাকে।
বিশিষ্ট্য সমাজসেবক খগেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন,বিসিকতাল যা ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নতুন বছরের নতুন দিন। আমাদের এ নববর্ষের প্রথম
দিনে আগামী দিনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে থাকি। এ দিন সার্বিক মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য নদীতে ফুল দিয়ে প্রণাম করা হয়। অবশ্য এই উৎসবের আগে জলপূজা করার রীতি আছে।
এ সময় এসময় ঠাকুরছড়া জাগরণ ক্লাব ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ত্রিপুরা, মেম্বার বিজয় রোয়াজা, হামরনাই বন্থা সভাপতি দেবাশীষ রোয়াজা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি উপপরিচালক জেন্স ত্রিপুরা, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক দীপায়ন রোয়াজা,তমেট নিত্র রোয়াজা, প্রণব ত্রিপুরাসহ শত শত ত্রিপুরা নর- নারীরা উপস্থিত ছিলেন।