পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিকপরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সুশাসন, গণতান্ত্রিক, গণমুখী ও প্রগতিশীল শাসন ব্যবস্থা অনুপস্থিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন ব্যবস্থা বিশেষ মহলের হাতে। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই এ অবস্থা চলে আসছে। সুশাসন, গণতান্ত্রিক, গণমুখী ও প্রগতিশীল শাসন ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নেওয়া বড়ই কঠিন।
উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন গণমুখী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ। তাছাড়া এখানকার উন্নয়ন সংস্থা গুলোতে যথাযথ নেতৃত্বের অভাব। এখানে যে কোনো উন্নয়ন এগিয়ে নিতে ঐক্য, সাম্য ও যথাযথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার রাঙামাটিতে বেসরকারি উন্নয়নসংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস আয়োজিত এক বার্ষিক বনভোজনের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিতির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩ ভাষাভাষির চৌদ্দটি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। তাদের মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এখানে আমরা সব সময় বৈষম্যহীন, বৈষম্যমুক্ত, গণতান্ত্রিক, গণমূখী ও প্রগতিশীল সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এ দেশের শাসকগোষ্ঠীর চিন্তাধারা তার বিপরীত। এখানে উগ্র জাতীয়তাবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা কাজ করে। এ অবস্থায় সব বৈষম্য ও ভেদাভেদ ভূলে পার্বত্য চট্টগ্রামে অসাম্প্রদায়িক, সাম্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান সন্তু লারমা।
রাঙামাটি সদরের বার্গিলেক নামক পর্যটন স্পটে আয়োজিত বার্ষিক বনভোজনে আশিকা ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা মঞ্জুলিকা খীসা বক্তব্য দেন।