গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে Bangladesh-ICIMOD Partners’ Day শীর্ষক বোর্ড অব গভর্নর্স সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সভাপতিত্ব করেন ICIMOD বোর্ড অফ গভর্নর্সের চেয়ারপারসন ও পার্বত্য চট্টগাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রয়্যাল গভর্নমেন্ট অব ভুটানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ইসিমোড-এর প্রোগ্রাম এডভাইজরী কমিটির সভাপতি লিয়নপো কিংজেং দর্জি, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাউদ্দিন নোমান চৌধুরী, নেপালে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ও ইসিমোড সাপোর্ট গ্রুপের চেয়ারপার্সন ড. তরুণ দ্রমদল, সমন্বিত পর্বত উন্নয়ন কেন্দ্র ICIMOD-এর মহাপরিচালক ড. পেমা গ্যামশো সহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ৪৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ইসিমোড-এর ৫৪তম গভর্নর্স বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নানা বাস্তবমুখী উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিবেশগত নিরাপত্তা বজায় রেখে বাংলাদেশে টেকসেই পাহাড় উন্নয়নে অগ্রাধিকার বিবেচনা করে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছে।
পার্বত্য সচিব আরও বলেন, আমরা ইসিমোড-এর কাজগুলোকে একই ছাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে একে অপরের অংশীদার ও শেয়ারিং এর মাধ্যমে কাজ করতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব উন্নয়ন পরিকল্পনা ও ইসিমোড এর সমন্বয়কারী মো. হুজুর আলী পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলের (HKH) আন্তঃসরকারি (Intergovernmental) প্রতিষ্ঠান (International Centre for Mountain Development) এর ৫৪তম গভর্নর্স বোর্ডের সভা ২১-২৪ ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে।
চার দশক ধরে চলমান ICIMOD এর সদর দপ্তর কাঠমন্ডুতে অবস্থিত। হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলের (HKH) ৮টি দেশ যথাক্রমে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমার ICIMOD এর সদস্য। তবে ICIMOD এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ICIMOD support group যেখানে দাতা দেশগুলো রয়েছে।
এছাড়া আছে Program Advisory Committee ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এবারের গভর্নর্স বোর্ডে সভার সভাপতি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব। ICIMOD এর মূল কাজ পার্বত্য পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়ন। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের জলাশয় ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, প্রাকৃতিক উপায়ে পরিবেশগত সমস্যা মোকাবিলা করা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নে ICIMOD পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
ICIMOD মূলতঃ গবেষণা সংস্থা। এরা বড় কোনো ইমারত বা অবকাঠামো নির্মাণ করে না। এদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, আইডব্লিউএম, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়, এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন ও বেসরকারি সংস্থা ও স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান।