বহুল প্রত্যাশিত রামগড় স্থলবন্দরকে সড়ক অবকাঠামো খাতে নতুন সম্ভাবনার মূচনা হয়েছে হাজার কোটি টাকার ‘বারৈয়ারহাট- হেঁয়াকো-রামগড়’ সড়কের চার লেইনে প্রশস্তকরণের উদ্যোগে। “অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রামগড় স্থলবন্দরের ভূমিকা অপরিসীম” এই প্রতিপাদ্যে বুধবার সকালে রামগড়ের মহামুনি এলাকাস্থ ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ এলাকায় ভার্চুয়ালি গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,এমপি এবং ভারতীয় হাই কমিশনের কমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ,সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। ৩৮কিলোমিটার সড়কের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০৭.১২কোটি টাকা।
এই প্রকল্পের সূত্রে চারলেইনে গাড়ি চলবে রামগড় টু বারৈয়ারহাট সড়কে। স্থলবন্দরের স্বপ্ন ঘিরে উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতেও জেগেছে আশার হাতছানি। সেই আশা জাগানিয়া উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের সারথী হতে চট্টগ্রাম থেকে ছুটে এসেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামও।
প্রকল্পের এই শুভ সূচনাক্ষণে খাগড়াছড়ির রামগড় অংশে যুক্ত ছিলেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক, খাগড়াছড়ির পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সা. সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এইচ এম আবু তৈয়ব, রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী (ত্রিপুরা), চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, খাগড়াছড়ি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।