নরসিংদী থেকে ৯ মাস আগে হারিয়ে যাওয়া মিতু আখতার’ উদ্ধার হলো দীঘিনালা উপজেলা থেকে।
৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দীঘিনালা বাস স্টেশন এলাকায় ঘুরাঘুরি করেন মিতু আখতার, পরে রাত ১০ টার দিকে স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলের সামনে একটি চেয়ারে বসে থাকেন মিতু। রাত বাড়তে থাকায় নিরিবিলি হয়ে উঠে স্টেশন এলাকা। বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখা হলে দীঘিনালা থানা অবগত করেন এক যুবক। পরবর্তী দীঘিনালা থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান খান, জরুরি পুলিশের একটি টহল টিম নিয়ে স্টেশন এসে জিঙাসাবাদ করা হলে, নিজ বাবা-মা এবং নরসিংদী জেলা এবং ঘোরাশাল একটি জায়গার নাম ছাড়া কোন সদুত্তর দিতে পারেনি মিতু আখতার। অপ্রকৃতিস্থ মনে হওয়া পুলিশ সহায়তা নেন তথ্য প্রযুক্তির।
এদিকে দীঘিনালা থানার চৌকস পুলিশে উপ-পরিদর্শক হাবিব রহমান খান, তৎক্ষনাৎ নরসিংদীর জেলার পলাশ থানায় যোগাযোগ করে সহায়তা নেন সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের। পরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে৷ মিতু আখতার এর মা এবং তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করা যায়।
দীঘিনালা থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান খান, জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে পথশিশু এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত ছিলাম। অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য কিছু করতে পারলেই নিজেকে তৃপ্ত মনে করতাম। অসহায় ও নিপীড়িত মানুষদের পক্ষে কাজ করার সেই মানসিকতা নিয়ে এখনো কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। পুলিশের চাকরির সুবাদে মানবিক কাজ গুলো বেশি করতে পারছি। মিতু আখতার’কে নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছিলো৷ মিতুকে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবেদ অপ্রকৃতিস্থ মনে হয়েছে। আমি পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে তার পরিবারের লোকজনের কাছে আজ রাত ১০ টায় হস্তান্তর করি।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী জানান, সাধারণ মানুষের দোড় গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে দীঘিনালা থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। গতকাল একটি সূত্রে জানতে পারি অপরিচিত একজন নারী স্টেশন এলাকায় বসে আছে। রাত বাড়তে থাকায় কোন লোকজন না আসায়। দীঘিনালা থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের নিয়োজিত অফিসারের সহায়তায় দীঘিনালা থানা পুলিশের হেফাজতে এনে তাকে পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করেছে দীঘিনালা থানা পুলিশ।