রাঙামাটির-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণের ৪৩ বছর পরও সড়কটি প্রশস্ত করণের কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। সরু এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা। ঘটে প্রাণহানী। দুর্ঘটনা রোধে সড়কটি প্রসস্তকরণের দাবী তুলেছেন স্থানীয়রা।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্র জানায়, ১৯৮০ সালের দিকে রাঙামাটি মহালছড়ি খাগড়াছড়ির আঞ্চলিক মহাসড়কটির নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬৩ কিলোমিটার। প্রস্থ মাত্র ১২ ফুট। সড়কটি নির্মাণের পর থেকে এটি প্রসস্তকরণের কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি।
সাজেকে পর্যটন কেন্দ্র ও লক্ষীছড়ি জালিয়াপাড়া সড়ক নির্মাণ করায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় এ সড়কে। কিন্তু সড়কটি প্রশস্থ কম হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শুধু গত এক বছরে এ সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৪ জন। আহত হয়েছেন অনেকে। এমন অবস্থায় এ সড়কে যান চলাচল সবসময় ঝূঁকি বলছেন চালক ও যাত্রীরা।
বাস চালক মো. মাসুদ (৪০) বলেন, বিপরীত দিক থেকে যখন কোন বাস বা ট্রাক আসে তখন সাইড দিতে কষ্ট হয়। দুটো গাড়িকে কাচা মাটিতে নামতে হয়। কাচা মাটি নরম হলে গাড়ির চাকা মাটিতে ডেবে গিয়ে হয়ে উল্টে যায়। এ ছাড়া দ্রুত গতি আসা গাড়িকে সাইড দেয়া যায় না। সাইড দিতে গেলে নিজেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। মোট কথা এ সড়কে যান চলাচল সব সময় সাবধানে ও ধীরে চলাতে হয়।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকবাহী বড় বাসগুলো এ সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে বিপাকে পড়ে।
এ সড়কটি প্রশস্ত করা না এ সড়কে যাতায়াত নিরাপদ হবে না। পাশাপাশি পর্যটন বিকাশ ঘটবে না। বলছেন বাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন,
রাঙামাটি বাস ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য মঈন উদ্দীন সেলিম বলেন, সড়কটি প্রশস্ত করার পাশাপাশি সড়কের পাশে ভিউ পয়েন্ট রাখা হলে সড়কে চলাচল যেমন নিরাপদ হবে তেমনি দৃষ্টি নন্দন হওয়ায় পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে। পর্যটক আকর্ষণ বাড়লে ব্যবসা বানিজ্যর প্রসার ঘটবে। সড়কটি প্রশস্ত না হওয়ায় এ সড়কে ভাল গাড়ি চলে না। ফলে যাতায়াতকারীরা আধুনিক সুবিধা পায় না।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে আঞ্চলিক সড়কের প্রসস্তের যে মাপ নির্ধারণ করা আছে সেটা নেই এ সড়কে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচলে সব সময় ঝুঁকি থাকে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, এ সড়কের ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্য সড়কটি প্রশস্তকরণের প্রস্তাব সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুমোদন পেলে সড়কের পরিবর্তন আসবে। কারণ সড়কটি নির্মাণের পর এ সড়কের উন্নয়ন খাতে কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। সংস্কার খাত দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে সচল রাখা হয়েছে সড়কটি।