পার্বত্য জেলা বান্দরবানে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পর থেকেই ওই সড়কে পাহাড়ে মাটি ধসে পড়ে জেলা সদরের সাথে থানচি ও রুমা দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বান্দরবানের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির চিত্র ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জাতীয় পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল গুলোতে প্রচারে পর পরির্দশনে এসেছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে বান্দরবান সদর হইতে সকল উপজেলার সাথে বিশেষ করে রুমা উপজেলা ও থানচি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দেন।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে রুমা ও থানচি সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করে যা দেখেছি, তা আমাদের কল্পনার বাইরে। সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা একদম ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে যা ধারনা করছি, তার চেয়ে বেশি হয়েছে।
দুর্যোগের পর থেকেই সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতার প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই পাহাড়ী এলাকা আমরা প্রকৃতি উপর যতবেশি হাত দেবো, ততবেশি ক্ষতি সম্মুখীন হবো। তাই প্রকৃতি সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বাইপাস রোড করে যাচ্ছি। যেখানে স্থায়ীত্ব হবে সে জায়গা গুলিতে কাজ করবো।
পাহাড়ী কণ্যা বান্দরবান পর্যটক প্রসঙ্গে তুলে ধরেন, ওই রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেই অনায়াসে আনাগোনা করতে পারবে। তাই বান্দরবান যেহেতু পর্যটন নগরী সেটি মাথা রেখে দ্রুততার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এসময় ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোসলে উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, রুমা ও থানছি দুই উপজেলার সওজ আওতায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামত করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, সড়ক যোগাযোগ সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী, মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইসিবি’র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাসুদুর রহমান, সড়ক বিভাগ বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোসলে উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ফজলুর রহমান সহ বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সড়কের উপর পাহাড় ধস। এবং অতিবৃষ্টিপাত ফলে মাটি নরম হয়ে সড়কের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে মাঝে বৃহৎ আকারের ফাটল, সড়কের পাশে পাহাড়ে মাটি ধসে গিয়ে কয়েকটি স্থানে রাস্তার একপাশ পুরোপুরি সড়কে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কে একেবারে যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ধসে যাওয়ার এমন সব দৃশ্য চোখে পড়বে দুই উপজেলা রুমা ও থানছি রুটে।
তাছাড়া ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বান্দরবান জেলা ছোট বড় পাহাড়ি সড়কে প্রায় স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবারের বন্যায়।