সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিটি পূজা মন্ডপেই এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততা মধ্য দিয়ে চলছে সাজানো-গোছানোর কাজ।
শিল্পীর রংতুলির আচঁড়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে দেবীর রুপ। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপ তৈরি করা হয় বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, তাদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরের বিনাশ করতে মা দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়। তাইতো সমাজ থেকে অন্যায়- অবিচার ও গ্লানি দূর করার জন্য এই পুজার আয়োজন।
এই উদ্দেশ্য সামনে রেখে সারাদেশের মতো ২০শে অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে বান্দরবানের শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপুজা। এই পুজাকে দেখতে স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা ভীর করে থাকেন।
পূজা কমিটির সূত্রে জানা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিল্পীর রংতুলির আচঁড়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও দেব-দেবীর রুপ। পুজাকে কেন্দ্র করে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে সময় কাটাচ্ছেন। ঘরে ঘরে চলছে আনন্দ উৎসব ও পুজার প্রস্তুতি। এবার দক্ষিন চট্টগ্রামে সবচেয়ে তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় পুজার মন্ডপ। । আধুনিক প্রযুক্তির কাজে লাগিয়ে দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেব-দেবীর অবায়ক। তাছাড়াও তিনদিন ব্যাপী একটি শরৎ মেলা বসবে।
কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটিরা জানিয়েছেন, এবছর বান্দরবানের ৭টি উপজেলার সহ ৩২টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এরমধ্যে বান্দরবান সদরে ১১টি, লামা উপজেলায় ৮টি ,আলীকদম উপজেলায় ৬ টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩টি, রুমা উপজেলায় ১টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি, থানচি উপজেলায় ২টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০ অক্টোবর শুরু হবে পুজা। দশমীপুজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ২৪ অক্টোবর উৎসেবর সমাপ্তি ঘটবে।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস দাশ বলেন, দক্ষিন চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজা মন্ডপ তৈরী করা হয় বান্দরবান শহরের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠে। মহাদেব শিবের তাপস্যার স্থান কৈলাস পর্বতের অনুসরনে এবার ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পূজামন্ডপকে সাজানো হচ্ছে।
এই ব্যাপারে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, বান্দরবানের প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশ প্রশাসন পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা পর্যন্ত পুলিশের সদস্যদের দায়িত্বে থাকবে।