রাঙামাটি বন সার্কেলের আওতাধীন উত্তর বন বিভাগের অধীনেস্থ বাঘাইছড়ি উপজেলার পাবলাখালী রেঞ্জের অন্তরভুক্ত এলাকায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সেগুন ও আকাশী বহু পুরাতন গাছ কেটে নিয়ে গেছে গাছ চোরেরা। এমন একটি অভিযোগ করেছেন ৩৭নং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের (সাবেক) চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল চৌধুরী।
গত ২১ অক্টোবর ২০২৩ রাসেল নিজেই বাদী হয়ে উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবরে তার নিজ স্বাক্ষরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
রাসেল তার লিখিত অভিযোগে বলেন,পাবলাখালী রেঞ্জে রক্ষিত বাগান হতে একটি সংঘবদ্ধ কাঠ চোরের দল প্রায় সময় সরকারী বাগান থেকে সেগুন ও আকাশী গাছ চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৮ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে পাবলাখালী রেঞ্জের সংলগ্ন রেষ্ট হাউজ হতে পূর্ব পাশের বাগান এবং উত্তর পাশের বাগান দিন দুপুরে একশ’টির ও বেশী বিশাল বিশাল চোখে পড়ার মত সেগুন ও আকাশী গাছ কেটে নিয়ে যায় চোরের দল।যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মত। গাছ চুরি ছাড়া আর কোন পেশা নেই এসব চোরদের। এসব চোরদের বাঘাইছড়িতে সবাই একনামে চিনে।
রাসেল আরো বলেন, বন বিভাগে আমি অভিযোগ দেওয়ার পরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তের জন্য একজন এসিএফকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য ওই তদন্ত কোথায়ও যেন আটকে গেছে। একটি সত্য ঘটনাকে আড়াল করতে গাছ চোরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। আমি গাছ চোরদের নাম ঠিকানা সব কিছু দেওয়ার পরে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বন বিভাগ! এই গাছ চোরদের সাথে পাবলাখালী রেঞ্জের লোকজন জড়িত আছে। তাই যদি না হয় তাহলে প্রকাশ্যে ও দিন দুপুরে কি ভাবে রক্ষিত বন বিভাগের গাছ কেটে নিয়ে যায়! বন বিভাগের প্রচলিত আইনে রক্ষিত বন উজাড় করার দায়ে গাছ চোরদের বিচারের দাবি করছি।
উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,কিছু গাছ আমি আসার আগেই চোরেরা কেটে নিয়ে গেছে। সেখানে হয় তো বা আমার লোকজন জড়িত ছিল। তবে রাসেলের দেওয়া এই অভিযোগে তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি যে আমার লোক জড়িত বা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। রাসেলের একটি অবৈধ স’মিল ছিল সেটা বন বিভাগ বন্ধ করে দেওয়াতে সে এসব কাজ করছে। তার পরও এসব বিষয়গুলো নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় বন বিভাগ এগিয়ে যাচ্ছে।