রাঙামাটি রাঙামাটিতে জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল চৌধুরীকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক থেকে সাময়িক বহিস্কৃত এবং উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীকে বুধবার বিকালে লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ বাজার থেকে গ্রেফতার করে লংগদু থানা পুলিশ।
এরপর তাকে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় পাঠালে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। এ সময় পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে চারদিন মঞ্জুর করেন সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালত। পুলিশ ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, এর আগে বাঘাইছড়ির আমতলী এলাকার জনৈক মো. পারভেজ হোসেন বাদী হয়ে রাঙামাটির আদালতে রাসেল চৌধুরীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অভিযোগে একটি মামলা (সিআর ৪০৪/২৩) করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই’কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
পিবিআইয়ে হাতে হাতে পৌঁছানোর কথা বলে আদালতের এ আদেশনামার নথিপত্র সংশ্লিষ্ট পুলিশ শাখা থেকে বুঝে নেন রাসেল চৌধুরী। কিন্তু নথিপত্র পিবিআই’য়ে না পৌঁছিয়ে নিজেই একটি ভুয়া তদন্ত প্রতিবেদন বানিয়ে কিছু দিন পর তা আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন রাসেল।
প্রতিবেদনে তিনি পিবিআই চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের (যিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন) সিল ও স্বাক্ষর জাল করেন। পরে প্রতিবেদনটি বিজ্ঞ আদালতে গেলে তা অসামঞ্জস্য বলে প্রতীয়মান হলে পুলিশকে জানানো হয়।
এতে জাল সরকারি দলিল তৈরির মাধ্যমে ফৌজদারি অপরাধের দায়ে রাসেল চৌধুরীসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় একটি প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মামলা (নং-১৮ তারিখ-২৯/১১/২০২৩ রুজু করা হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে যাদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রাসেল চৌধুরীকে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দলের সব পদ থেকে সাময়িক বহিস্কারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর বলেন, দলীয় আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন অপরাধের দায়ে তাকে (রাসেল চৌধুরী) দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে।