রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ রোমেল চাকমার উপর হামলাকারী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ফটকে রাঙামাটি সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে ডা. রোমেল চাকমা শরীর চর্চার জন্য সাইকেল নিয়ে সাইক্লিং করার সময় একটি বেপোরেয়া গাড়ি এসে রোমেলের সাইকেলটি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে আসামিরা ডা. রোমেলের উপর হামলা করে। এদের আঘাতে ডা. রোমেল গুরুত্বর আহত হয়। যিনি মানুষের চোখের আলো দেখান সে ডাক্তারের উপর এমন ন্যাকারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জোর দাবি জানা বক্তারা।
বক্তারা বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির ৫ দিন পেরুলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। মামলার পরও গ্রেফতারী পরোয়ানাভক্ত আসামীরা ডাক্তার রোমেলের বিরুদ্ধে নানান অপ প্রচার চারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বসু মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাক্তার সাইনী তালুকদার, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা আল হক, সাংবাদিক হিমেল চাকমা, সমাজকর্মী রননজয় চাকমা, সংগীত শিল্পী রনঞ্জিত দেওয়ান প্রমূখ।
জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে ডা. রোমেল চাকমা শরীর চর্চার জন্য সাইকেল নিয়ে সাইক্লিং করার সময় একটি বেপোরেয়া গাড়ি এসে রোমেলের সাইকেলটি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে আসামিরা ডা. রোমেলের উপর হামলা করে। হামলায় মাথায় ও ঠোটে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ডা. রোমেল চাকমা। এ ঘটনায় উল্টো ডাক্তার রোমেলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে আনুশা চৌধুরী । এ ঘটনায় চাকমা সার্কেল চীফ সমঝোতা বৈঠক ডাকে। এতে রোমেলের উপর হামলাকারীরা ক্ষমা চান। বৈঠকে আনুশা চৌধুরী পরিবারকে জিডি প্রত্যাহারের আদেশ দেন সার্কেল চীফ।
চীফের রায় অমান্য করে গত ২১ জানুয়ারী এ ডায়েরী মামলায় রুপান্তরিত করতে আদালতে জবানবন্ধী দেয় আনুশা চৌধুরী। এর পরদিন ২২ জানুয়ারী নিজে বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ডা. রোমেল চাকমা।
বিজ্ঞ আদালত মামলা আমলে নিয়ে সেদিনই আসামী মো. শামীন আলম (৩৫) মো. আহাদ (৩২) আনুশা চৌধুরীর (২০)। বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হানিফ। একই সাথে অন্য আসামী প্রিসলি চৌধুরী (২৮), শর্মিষ্ঠা রায় (৫৫), পরাগ রায় (৫৫) এবং তুর্বান রায়ের (৩০) বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়।