নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি।8
মানবতার পাশে থাকে উন্মেষ। এ উন্মেষ না থাকলে যেন মানবতা হারিয়ে যাবে। এ উন্মেষ যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য উন্মেষের পাশে থাকতে হবে সবাইকে। পাহাড়ের সেচ্ছাসেবী সংগঠন “উন্মেষ” এর ১ দশক পুর্তিতে এসব কথা বলেছেন বক্তারা।
সোমবার সকালে রাঙামাটি শহরের মোনঘর শিশু সদনের মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, একজন মুমুর্ষ রোগী যখন রক্তের জন্য বিছানায় মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকে তখন উম্মেষের সদস্যরা সে রোগীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যায়। এ ধরণের ঘটনা শুধু একটি নয়, শত শত উদাহরণ দিতে পারেন উন্মেষের সদস্যরা। এজন্য যুব উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে,
জয় বাংলা ইয়ুর্থ অ্যাওয়ার্ড ২০২০ পুরস্কারে ভুষিত হয়েছে। এ অর্জন উম্মেষের নয়। এ অর্জন পুরো পার্বত্যবাসীর।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
এসময় তিনি বলেন উন্মেষ মানবতার কল্যাণে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। পুরো পরিবার সব সময় উন্মেষের সাথে থাকবে প্রতিজ্ঞা করেন নিখিল কুমার।
উন্মেষের সভাপতি বিটন চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, মোনঘর আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝিমিত ঝিমিত চাকমা, মোনঘর শিশু সদনের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার চাকমা, রাঙামাটি পৌর সভার ৮ নং পৌর কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রন জ্যোতি চাকমা, মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিশির চাকমা, উন্নয়ন কর্মী টুকু তালুকদার, ডাক্তার পরশ খীসা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌরিকা চাকমা, উন্মেষ উপদেষ্টা স্নেহাশীষ চাকমা. উন্মেষ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পরম চাকমা।
১ দশক পুর্তির দিনে মোনঘর শিশু সদনের ছেলেমেয়েদের দুপুরের খাবার বিতরণ ও সদনের ছেলে মেয়েদের রক্ত গ্রুপ নির্নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালে কয়েকজন ছাত্র মিলে প্রতিষ্ঠা করেন উন্মেষ। শুরুতে রক্ত গ্রুপ নির্নয়, মানুষকে রক্তদানসহ মানবিক কাজ করে। ধীরে ধীরে এ মানবকি কাজ পার্বত্যঅঞ্চল ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য এলাকায় মানবিক কাজ করে। উম্মেষের তথ্যমতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার মানুষের রক্ত গ্রুপ নির্নয় করেছে উন্মেষ।