পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বৃহত্তর স্বার্থের জন্য বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য অনৈক্য দূর করে সকলকে একে-অপরের কাছে আসতে হবে। বৃহত্তর ও দূরদর্শী চিন্তা ছিলো বলেই সত্তরের দশকে শ্রদ্ধেয় জ্ঞানশ্রী ভান্তে দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টল অনাথাশ্রম এবং আশির দশকে খাগড়াছড়ির কমলছড়ি শ্রদ্ধেয় সুমনালংকার ভান্তে পিবিএম’র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এইসব মহীয়সী মানুষদের সৃষ্টিকে লালন এবং এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব সবাই মিলেই পালন করতে হবে।
তিনি শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলাসদরের কমলছড়ি গ্রামে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন (পিবিএম) অনাথালয়’ চালুর লক্ষ্যে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উর্পযুক্ত কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ- প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব পদ-মর্যাদা) সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব পদ-মর্যাদা) সুপ্রদীপ চাকমা, মং সার্কেল চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ-প্রফেসর ড, সুধীন কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডা, অজয় চাকমা এবং খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সংস্থা’র চেয়ারপারসন শেফালিকা ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শুভমঙ্গল চাকমা সুদর্শীর স্বাগত বক্তব্য দিয়ে সূচিত সভায় রাঙামাটি মোনঘর শিক্ষা কমপ্লেক্স’র নির্বাহী পরিচালক অশোক চাকমা ও খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ত্রিনা চাকমা।
সভায় পিবিএম অনাথালয় ও শিক্ষা কমপ্লেক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সুমনালংকার মহাথেরো’র অনুস্থতাজনিত কারণে তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান, পিবিএম অনাথালয় পরিচালনা কমিটির সা, সম্পাদক রিপন চাকমা।
সমাবেশে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার জনপ্রতিনিধি, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, এনজিও ব্যক্তিত্ব, নারী নেতৃবৃন্দ, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্যেনী- পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।