আগামী ১৪ আগষ্ট বহুল প্রত্যাশিত ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশের ১৫তম ও পার্বত্যঞ্চলের প্রথম রামগড় স্থলবন্দর মৈত্রী সেতু-১ দিয়ে দু’দেশের যাত্রীদের চলাচল শুরু হচ্ছে । আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবনে আয়োজিত ভার্চুয়াল এক সভায় ভিডিও বক্তব্যে দু’দেশের ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
এসময় ভার্চুয়ালি সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক মো: সরওয়ার আলম, রামগড় ইমিগ্রেশন থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) রাজু আহমেদ, রামগড় থানার ওসি দেবপ্রিয় দাস, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মনির হোসেন, রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্র সহ প্রমুখ ভার্চুয়ালি সভায় বক্তব্যে রাখেন।
২০২১ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ১.৯ কিলোমিটার দৈর্ঘের সেতুটির উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে রামগড় স্থলবন্দরে নির্মিত আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
ভিডিও বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, “ইমিগ্রেশন হয়ে যাত্রী পারাপারে ভারত থেকে পত্র পেয়েছি। যা আগামী ১৪ আগষ্ট উদ্বোধনের পর দু’দেশের নাগরিকরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাপেক্ষে মৈত্রীসেতু-১ হয়ে পারাপারের সুযোগ পাবেন। প্রথমে যাত্রী চলাচল শুরু হচ্ছে পরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরী হলে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাও শুরু হবে সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে।”
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাড়বে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। বিকশিত হবে পাহাড়ের অর্থনীতি। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ চলবে। স্থলবন্দর চালুর লক্ষে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি সেতু নির্মাণ করেছে ভারত।