কাউখালী উপজেলা বিএনপিতে শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযান। তারই আলোকে কাউখালীর বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: আলী আকবরকে তার স্বীয় পদ স্থগিত করেছে কাউখালী উপজেলা বিএনপি। এছাড়া একই ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো: জয়নাল আবেদীনকে শোকজ করেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেবের নির্দেশনায় দপ্তর সম্পাদক মো: মিল্লাত উদ্দিন স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার বেতবুনিয়া ও কাউখালী এলাকায় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। এদিকে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেব জানিয়েছেন দলের নাম বিক্রি করে কাউকে বিশৃংঙ্খলা করতে দেয়া হবে না।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মো: আলী আকবর, সভাপতি, বেতবুনিয়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে আশীন থেকে দলের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় সুনির্দিষ্ট প্রমানের ভিত্তিতে আপনার বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদ স্থগিত করা হইল। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী পনের দিনের মধ্যে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো: জয়নাল আবেদীনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আশীন থেকে দলের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন হয় এমন কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় অভিযোগর ভিত্তিতে আগামী সাত দিনের মধ্যে এর কারন জানিয়ে লিখিত ও মৌখিক ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য বলা হয়।
এদিকে গত শুক্রবার রাতে পদ স্থগিত ও শোকজের সংবাদ বেতবুনিয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আলী আকবর ও মো: জয়নাল আবেদীনকে শোকজ করার প্রতিবাদের তাদের অনুসারীরা বেতবুনিয়ার গুইয়াতলা এলাকায় রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির উপদেস্টা ছৈয়দুল আলম মেম্বারের বাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বেতবুনিয়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে আলী আকবরের পদ স্থগিত করে দেয়া পত্র প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যথায় যে কোন পরিস্থিতির জন্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দায়ী থাকবেন বলে হুশিয়ারী দেন।
আবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির উপদেস্টা ছৈয়দুল আলম মেম্বারের বাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গুইয়াতল এলাকায়। এতে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ ছগির, কাউখালী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শওকত হোসেন,কাউখালী উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম। প্রতিবাদ সভায় দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আওয়ামীলীগের একটি গ্রুপকে নিয়ে আলী আকবর ও মো: জয়নাল আবেদীনের অনুসারীরা মিছিল ও সিনিয়র বিএনপি নেতার বাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বক্তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কাযক্রমের সাথে জড়িত সকলকে দল থেকে বহিষ্কার করে আইনের নিকট সোপদ করার দাবী জানান।
এদিকে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেব জানিয়েছেন দলের নাম বিক্রি করে কাউকে বিশৃংঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। সতের বছর আন্দোলন সংগ্রামে শত শত বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী যারা কখনো আওয়ামীলীগের সাথে আপোষ করেনি। আর এই সতের বছর যে সকল বিএনপির নামধারী আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় ছিলো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোন মামলা হামলার স্বীকার হয়নি এমন অনেকে আওয়ামীলীগের কাছে ঋনী। আওয়ামীলীগের এসব ঋন শোধ করার জন্য তারা এখন গভীর ষড়ডন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা আরো বলেন বৈষম্য বিরোধী শত শত ছাত্র ও যুব সমাজের রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয়বার দেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই কাউকে অন্যায়ের জন্য ছাড় দেয়া হবে না।