এম কামাল উদ্দিন।
পবিত্র মাহে রমজান আসার আগেই রাঙামাটির প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা দোকানে দ্রব্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুন! প্রশাসন একেবারে নীরব! ভোজ্য তেল তো সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কে শুনে কার কথা। দ্রব্যমূল্য স্থির রাখতে ব্যর্থ খোদ স্হানীয় প্রশাসন। রাঙামাটিতে বেড়েছে প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম। দিশেহারা মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন। আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন মিল নাই। আগে বিক্রি হতো প্রতি লিটার সয়াবিন১৫০-১৬০ আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। প্রতি লিটার সোয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২০-৩০টাকা।
বনরুপা বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দ্বিগুন বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। তার সাথে সাথে বেড়েছে কাচা তরিতরকারির সবজির দাম। গরুর মাংস, বয়লার, ডিম, সোনালি ওদেশী মুরগির দাম বেড়েছে। লেকে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাছের দামও বেড়েছে। ক্রেতাদের হতাশা আর ক্ষোভ বেড়েই চলছে। এদিকে রমজান সামনে রেখে বেড়ে গেছে,আটা, ময়দা ছোলা, পিয়াজ, রসুন, আদাসহ সকল ময় মসল্লার দাম। সবজির মধ্যে সব চেয়ে বেশী দাম তিত করল্যার দাম। ১২০ টাকা প্রতি কেজি তিত করল্যা দাম।
বনরুপা বাজারের একজন বলেন,রমজান আসতে এখন প্রায় একমাস দেরি কিন্তু বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। আমরা কি না খেয়ে থাকব।সরকার দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যদি তা না হয় তাহলে ৬০ টাকার সয়াবিন তেল কি করে ১৮০ টাকা হলো? সম্প্রতি সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে কেন? চাউল প্রতি বস্তায় ২-৩শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪০ টাকার পিয়াজ এখন ৫০-৬০ টাকা। রমজান আসলে কত হবে তার কোন ঠিক- ঠিকানা নাই। রাঙামাটিতে কি প্রশাসন আছে তা আমাদের জানা নেই।
এদিকে বনরুপা বাজারের বড় পাইকারি মুর্দি ব্যবসায়ি রাম ভান্ডার বলেন,বর্তমানে চট্টগ্রামের আড়ৎ থেকে সোয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে না।আমরা কি করব। পুরাতন তেল বিক্রি করছি আমরা। নতুন তেল আসলে বলতে পারব কি দর বিক্রি করতে হবে।আর চাউলের দাম তো এক মাস আগেই বেড়েছে। তেল আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে সরকারেরও করার কিছুই থাকে না। স্থানীয় ব্যবসায়িদের একটাই কথা আড়ৎদাররা দাম বাড়ালে আমরা কি করব।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবেনি ত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে কাজ করছে।কোন অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর অবস্থানে থাকবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।