অনাকাঙ্খিত ঘটনার হোতাদের বিষয়ে সকলকে স্বোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
তিনি সংঘাত, নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে রোববার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় দেশের স্বার্থে, সমাজের স্বার্থে এবং সবার জীবন ও জীবিকার তাগাদা থেকে নিজ নিজ এলাকার স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন রাখতে সবার সক্রিয় সহযোগিতাও কামনা করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রব রাজা, জেলা জামায়াতের আমীর মিনহাজুর রহমান, খাগড়াছড়ি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এইচ এম প্রফুল্ল, চ্যালাছড়া ব্যাপ্টিস্ট মিশনের সভাপতি ও শিক্ষক আশাপ্রিয় ত্রিপুরা এবং গণমাধ্যমকর্মী শাহরিয়ার ইউনুছ বক্তব্য রাখেন।
এসময় ভাইবোনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুজন চাকমা, খাগড়াছড়ি পৌর বিএনপি’র সা. সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যদিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান পাহাড়ি-বাঙালি নেতারা।
সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা ও চুরির অভিযোগে মামুন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। লুটপাট-ভাংচুর ছাড়াও পাহাড়িদের সহায়-সম্পদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।