খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা গত জুলাই ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শহীদ হওয়া মো. মজিদ হোসেনের কবর জিয়ারত শেষে তাঁর পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি নিহত মজিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর কবর জিয়ারত ও দোয়া শেষে শহীদ মজিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন, বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শহীদ মজিদ হোসেন রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের নাকাপা রসুলপুল গ্রামের বাসিন্ধা মো: আমিন মমিয়ার ছেলে। মজিদ পেশায় ট্রাকের হেলপার হিসেবে চাকরি করতেন।
পারিবারিকভাবে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম হতে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ মালামাল নিয়ে যান এবং মালামাল নামিয়ে খালি ট্রাক হাজীগঞ্জ রেল লাইনের পাশে রেখে ট্রাকের ভিতরে ঘুমিয়ে পড়ে মজিদ। হঠাৎ জেগে উঠে তার ট্রাকে কিছু একটা ছুড়ে ফেলার শব্দ শুনতে পান কিছু বুঝে উঠার আগেই কে বা কাহারা ট্রাকে অগ্নি সংযোগ করে এবং কিছুক্ষণ পর স্থানীয় একজন লোক অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মজিদকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ২০ জুলাই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দেখতে যান এবং ২৫ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার সময় মজিদ হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। মজিদের শরীরের ৮০ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়।


















