গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এর “প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ট্রন্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টিপ্রিনিউরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ”(পার্টনার) এর আওতায় এবং ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আয়োজনে পার্বত্য অঞ্চলের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক আঞ্চলিক বিপনণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইদিন ব্যাপী (৯-১০ ফেব্রুয়ারি) এগ্রিট্যুরিজম প্রোগ্রামের শেষ দিনে গতকাল সোমবার সকাল ১০ঘটিকায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন হোসেন, (উপ-সচিব), ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মোসাঃ হাবিবা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ঢাকা এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মাসুদ করিম। এছাড়া রাবিপ্রবি’র বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি এগ্রো ট্যুরিজম প্রোগ্রামের আইডিয়া কন্টেস্ট, বিজনেজ আইডিয়া কন্টেস্ট, প্রজেক্ট শো-কেসিং এবং গেমিং কন্টেস্ট নিয়ে নানা উদ্ভাবনী আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোঃ সেলিম, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মাসুদ রানা। এছাড়া এগ্রো ট্যুরিজম নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাবিপ্রবি’র ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদন এবং এর বিপণনে তরুণদের নানা উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মার্কেটিং এর সঠিক জ্ঞান না থাকায় অনেক কৃষক কৃষি কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। পাহাড়ে অনেক আম,আনারস,কাঠাল,লিচু নায্য মূল্য না পেয়ে পঁচে যায়। কিন্তু এগুলো প্রসেসিং করে বিক্রির জন্য তেমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেই। সেজন্য কৃষকরা এর নায্য মূল্য পাইনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পচনশীল কাঁচা ফলমূল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য এর নানা প্রসেসিং এর মাধ্যমে সেগুলো পুনরায় বাজারজাত করা হয়। তাই দেশেও এরকম নানা উদ্ভাবনী কাজ শুরু করা যেতে পারে। সেজন্য তরুণ উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পাহাড়ের কৃষি পণ্য নিয়ে কাজ করার জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নানা ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তারা বলেন, উদ্যোক্তাদের কৃষি ব্যবসায়ে উৎসাহিত করতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে নানা যন্ত্রপাতি ও প্রকল্প অনুদান প্রদান কররা হয়ে থাকে,যেখানে ৭০% প্রকল্প থেকে এবং ৩০% উদ্যক্তা নিজ অর্থায়ন করা হয় বলে জানান।
এরপর এগ্রি ট্যুরিজম এবং কৃষির বাজারের সম্ভাব্যতা ও এর ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের এগ্রো ট্যুরিজম নিয়ে উপস্থিত অতিথিবৃন্দদের মাঝে নানা প্রশ্ন করেন এবং অতিথিবৃন্দ সেগুলোর উত্তর দেন। অনুষ্ঠান শেষে কনটেস্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ঋষিতা চাকমা। অনুষ্ঠানসূচী অনুযায়ী সন্ধ্যায় বাইরে থেকে সাংস্কৃতিক দল, রাবিপ্রবির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।