রাঙামাটির কাউখালীতে বাড়ির মালিকের হাতে এক মারমা তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। তরুণীকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই আসামী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা মো. ফাহিম (২৫) পালিয়েছে। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কাউখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানিয়েছেন আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী (বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল) কাউখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নে বড়ডলু পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ।
আসামী ফাহিম উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ও এক নম্বর ওয়ার্ডের বিনাভোটের মেম্বার মো. আনোয়ারের ছেলে।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী তরুণী উল্লেখ করেন- পোয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। আসামী গত ১৭ এপ্রিল রাতে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বাঁধা দেওয়ায় ফাহিম তাকে মারধর করে। আহত হয়ে তিনি কাউখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং থানায় অভিযোগ দেন। এরআগেও আসামী মো. ফাহিম ওই তরুণীকে গত ২৫ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আকবর খান বলেন, ভুক্তভোগীকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর ধর্ষণের পরীক্ষা ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। তরুণীকে চিকিৎসা ও শারিরীক পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।