রবিবার , ৪ মে ২০২৫ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

নানিয়ারচর-লংগদু সড়ক নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত 

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
মে ৪, ২০২৫ ৯:৪২ অপরাহ্ণ

রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়িবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ও দীর্ঘ ৫৪ বছরের প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছে যাচ্ছে ভাগ্যের চাকা। খুব শিগগরই চালু হতে যাচ্ছে লংগদু-নানিয়ারচর সড়কের কাজ। এব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। আজ রোববার (৪ মে) সকাল ১০টায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.মোহাম্মদ জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে এক পর্যালোচনায় সভায় সড়কটি নির্মাণে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রাজধানীর আব্দুল গনি রোডে অবস্থিত বিদ্যুৎ ভবনস্থ ডিপিডিসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সজল কান্তি বনিক, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড লেঃ কর্ণেল খালেদ, লেঃ কর্ণেল আসিফ এবং পার্বত্য রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশীদ।

সভা শেষে পার্বত্য রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশীদ গণমাধ্যমকে জানান, সভাটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সভায় পর্যালোচনা শেষে রাঙামাটির নানিয়ারচর হয়ে লংগদু-বাঘাইছড়ি উপজেলাকে সংযুক্তকারী সড়কটি নির্মাণের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা বিবেচনায় প্রকল্পটি নির্মাণে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে ডিপিপি তৈরির ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ডিপিপি তৈরিতে ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।

মিনহাজ মুরশীদ আরো জানান, ডিপিপি তৈরি হয়ে গেলে সড়কটি নির্মাণে আর কোনো বাঁধা থাকবে না। তবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে। সেটি পেয়ে গেলে রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে লংগদু এবং বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসীর সড়ক যোগাযোগ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে একদিকে পিছিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। অন্যদিকে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র ২৪ কিলোমিটার সড়কের অভাবে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই জেলা সদরের সাথে দেশের বৃহৎ ২ উপজেলা লংগদু ও বাঘাইছড়ির। সড়ক না থাকায় শুধু জনদুর্ভোগই নয়, পিছিয়ে পড়ছে পর্যটন ও অর্থনীতি। দীর্ঘ অপেক্ষা, সীমাহীন দুর্ভোগ আর পিছিয়ে পড়ার গল্পই যেন এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী। অথচ নানিয়ারচরের বড়পোল হতে মাত্র ২৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হলেই বদলে যেতে পারে এই সব কষ্টগাঁথা। বদলে যেত এই অঞ্চলের চিত্র। একটি সড়ক, যা বদলে দিতে পারে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সম্ভাবনা। দূর্গম পাহাড়ের বুক চিড়ে যে সড়ক নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের সেই সড়ক শুধু পাথর আর বিটুমিনের নয়, এটি লক্ষ মানুষের স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর উন্নয়নের প্রতীক হিসাবে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এখনো অপেক্ষমাণ। বহু বছর ধরে এ সড়ক নিয়ে আলোচনা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি।

দেশের প্রতন্ত আঞ্চলগুলোতে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে গেলেও আজও লংগদু ও বাঘাইছড়ির মানুষকে জেলা সদরে যেতে হয় নৌপথে। গত শতকের ১৯৬০ সালে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ হলে কৃত্রিম হ্রদের কারণে দূরবর্তী বেশ কয়টি উপজেলার মতো নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়িও পানিবন্দি হয়ে জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেখানে যোগাযোগব্যবস্থায় নৌযান একমাত্র ভরসা হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের পরিবহন ও বাজারজাত করা যেমন ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, তেমনি যাতায়াতেও সৃষ্টি হয় নানান ভোগান্তি। তবে ২০২০ সালে নানিয়ারচরের চেঙ্গী নদীতে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের পর পাহাড়ে সমৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়। এদিকে ৩৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু আঞ্চলিক সড়কটির সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশ আগে থেকেই পাকা ছিল। অবশিষ্ট ২৪ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ হলেই জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। এতে রাঙামাটির নানিয়ারচর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা এই পাঁচ জেলা-উপজেলার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ সড়কটি ব্যবহার করতে পারবেন।

বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানি শুকিয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়ে ৫ লক্ষাধিক মানুষ। যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য নষ্ট হয় জমিতেই। মাত্র ২৪ কিলোমিটার সড়কের অভাবে লংগদু থেকে নানিয়ারচর আসতে সময় লেগে যায় ৫-৬ ঘন্টা। বর্তমানে নৌপথে রাঙামাটি থেকে লংগদু যেতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা এবং বাঘাইছড়ি যেতে সাত-আট ঘণ্টা সময় লাগে যায়। তবে সড়ক হলে এই দূরত্ব কমে আসবে মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টায়। সড়ক না থাকায় উচ্চ শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে এক প্রজন্ম, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ঝরছে প্রাণ, বাজারজাত অভাবে কৃষকের ঘামঝরা ফসলের উঠছে না মূল্য। অথচ এত অল্প দূরত্বের একটি সড়ক হলেই বদলে যেত এই পাহাড়ি জনপদের দৃশ্যপট।

এই সংযোগ সড়ক শুধু যোগাযোগ সহজ করবে না, এটি পাহাড়ের অর্থনীতিকে করবে চাঙা, খুলবে পর্যটনের নতুন দুয়ার। সাজেক ভ্যালির মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে  লংগদু– রাঙামাটি বান্দরবান হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে, যা পার্বত্য জেলা রাঙামাটিকে পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। গড়ে উঠবে নতুন পর্যটন স্পট, বাড়বে কর্মসংস্থান, সমৃদ্ধ হবে স্থানীয় অর্থনীতি—একাই এই সড়কই হয়ে উঠবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি। এই সড়ক ধরে পাহাড়ি জনপদে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতে খরচ ও সময় সাশ্রয়সহ কৃষি অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে তেমনি মেঘের রাজ্য হিসেবে খ্যাত সাজেকের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। আর সড়ক যোগাযোগ, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

জাবারাং কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে দীঘিনালায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান

জুরাছড়িতে উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

কাপ্তাই হ্রদে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণকালে জব্দকৃত নৌকা জাল নিলামে বিক্রয় 

খাগড়াছড়িতে মাদকবিরোধী সভা অনুষ্ঠিত

বিলাইছড়ি বাজার বৌদ্ধ বিহারের শিশু সদন থেকে পালানো ৪ কিশোর উদ্ধার

দীঘিনালায় আগুনে পুড়েছে দেড় কোটি টাকা ঝাড়ু ফুল

বিলাইছড়িতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত 

রামগড়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষিদের মাঝে পোনামাছ বিতরণ

মানিকছড়িতে মৎস্য পোনা অবমুক্ত ও পুরস্কার বিতরণ

রাঙামাটিতে ৩ কোটি টাকার পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি, ভুয়া বিলে উত্তোলণ ১০ লাখ টাকা

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: