দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকরা রাঙামাটি মানববন্ধন করেছেন। পরে ৫ দফা দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি।
আজ (শনিবার, ১৮ মে) দুপুরে ঘন্টাব্যাপী রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শিক্ষকরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় মানববন্ধনে ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেন ইফার ফিল্ড অফিসার মো. আলী আহসান ভূঁইয়া। এসব দাবির মধ্যে ৮ম পর্যায় প্রকল্প অনুমোদন, ঈদুল আযহার আগেই বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ, ৩য় থেকে ৭ম পর্যায় জনবলকে রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত, ৭ম পর্যায় জনবলকে ৮ম পর্যায় প্রকল্পে স্থানান্তর ও শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে। মানববন্ধনে শতাধিক নারী ও পুরুষ শিক্ষক বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইফার প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। গত ১৯ আগস্ট ২০২৪ ধর্ম উপদেষ্টা প্রকল্পটির বিদ্যমান জনবলকে রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তের আশ্বাস দিয়ছেন। কিন্তু গেল ১৪ মে ২০২৫ পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় মে পর্যন্ত ৫ মাসের বেতন ভাতা বাদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ৮৪ হাজার শিক্ষক, কেয়ারটেকার, কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যাপক উদ্বেগ উৎকন্ঠায় পড়েছেন। ঈদুল আযহার আগে আগেই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করা না হলে সারা দেশে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে বলেও দাবি করেন বক্তারা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার মোঃ আলী আহসান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মউশিক শিক্ষক সমিতি রাঙামাটি জেলার সভাপতি মাওলানা মোঃ শামশুল আলম, মাওলানা হাসানুর রহমান, মো. পেয়ার আহমেদ প্রমূখ।
পরে ৫ দফা দাবি জানিয়ে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।