রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে গাইনী বিভাগের দুটি জরায়ু বিশিষ্ট এক রোগীর সিজারিয়ান ডেলিভারী করানো হয়েছে। রোগীটির স্বামীর বাড়ি নানিয়াচর উপজেলার মরা চেঙী এলাকায়।
বুধবার দুপুরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. তাহমিনা দেওয়ানের নেতৃত্বে তিন সদস্যর এক মেডিকেল টিম এ অপারেশনটি করেন। সময় লাগে ৪০ মিনিট।
অপারেশনের পর মা সুস্থ থাকলেও শিশুটি শিশু ওয়ার্ড ভর্তি আছে। এ ধরণের রোগী সাধারণত দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বিনোদ শেখর চাকমা।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শওকত আকবর খান বলেন, এ ধরণের রোগী অতীতে রাঙামাটিতে পাওয়া গেছে এমন তথ্য নেই।
মেডিকেল ভাষায় এটিকে ইউটেরাস ডিডেলফিস বলা হয়। ইউটেরাস ডিডেলফিস বিরল জন্মগত অবস্থা যেখানে একজন মহিলার শরীরে একটির পরিবর্তে দুটি জরায়ু তৈরি হয়। বিশ্বে ২০০০ জনের মধ্যে একজন এ ধরণের হয় বলা আছে।
রোগীর স্বামী লিকন চাকমা (৩০) বলেন, এটি তাদের প্রথম বাচ্চা। এতদিন তারা কোন ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন না। গত সোমবার হাসপাতালে আনি। আজকে সিজার করা হয়। এর বাইরে আমি জানি না। শিশুটি শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে।
ডা. তাহমিনা দেওয়ান বলেন, রোগীর বাচ্চা নড়াচড়া কমে যাওয়ায় সিজারিয়ান ডেলিভারী করার সিদ্ধান্ত নিই।
অপারেশন করতে গিয়ে দেখি একটি জরায়ুতে বাচ্চা আছে । পাশে আরেকটি জরায়ুটি খালি। এটি আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। এ ধরণের রোগীর কথা আমরা মেডিকেল বিজ্ঞানে পড়েছি। পেশাগত জীবনে এ প্রথম এ ধরণের রোগী পেলাম।
ডা. তাহমিনা দেওয়ান বলেন এ ধরণের রোগীদের যে সব সমস্যা হতে পারে সেগুলোর মধ্যে সময়ের আগে ডেলিভারী হতে পারে। দুটো জরায়ুতে দুটো বাচ্চা হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগী, গার্ডিয়ান এবং ডাক্তারদের সতর্ক থাকতে হয়।