কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে কৃষি সমবায় সমিতির বত্রিশ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ সদস্যরা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করা পর্যন্ত ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল স্থগিত চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমবায় অফিসার দিদারুল ইসলাম। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউপির ‘গজালিয়া বাবু বাজার কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্র সমবায় সমিতি লি:’এর সভাপতি আওয়ামী দোসর সিরাজুল ইসলাম গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের দিন থেকে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান। যার ফলে সমিতির অচলাবস্থা নিরসনে নুরুল আলমকে সভাপতি করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করা হয়। পরে সমিতি সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্মকর্তাবৃন্দ কয়েক ধাপে তথ্যনুসন্ধানে জানতে পারে সমিতির কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন গাড়ি ও সোলার ব্যাটারী বিক্রি, সদস্যগণের সঞ্চয়কৃত টাকা, অফিসের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ও জমাকৃত নগদ অর্থ সহ আনুমানিক ৩২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ হয়।
বিশালাকারের এ আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হলে সমিতির সদস্যগণের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের উপক্রম হয়। এই পরিস্থিতিতে আত্মসাতের ঘটনার তদন্ত শেষ না করে এডহক কমিটি ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার যোগসাজশে লুটপাট ও আত্মসাতে জড়িত আওয়ামী দোসরদের রক্ষায় আগামী ২৯ জুন রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করে উপজেলা সমবায় অফিস।
এডহক কমিটির সভাপতি নুরুল আলম জানান, আত্মসাতের ঘটনা সত্য। তবে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, আত্মসাত ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট বৃহস্পতিবা আজ জমা দেয়ার কথা,তবে অন্য অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি আরো জানান, গত বুধবার (২৫ জুন) তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ক্ষুদ্ধ সদস্যরা একটি অভিযোগ করেছেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রবিবার ২৯ জুন নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
