রাঙামাটিতে পার্বত্য ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ফয়সাল খান ও কমল তঞ্চঙ্গ্যা। অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ফয়সাল খান ও কমল তঞ্চঙ্গ্যা মিলে প্রথমার্ধে ২১-১৪ সেটের ব্যবধানে কল্যাণ চাকমা ও প্রমেশ দেওয়ানকে পরাজিত করে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ২২-২০ সেটের ব্যবধানে হেরে গেলেও তৃতীয়ার্ধে তারা ২১-১৪ সেটের ব্যবধানে কল্যাণ ও প্রমেশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয় হয়।
বুধবার (০৯ জুন) রাতে কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়াম হলরুমে টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বিজয়ী খেলোয়ারদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙামাটি তিন পার্বত্য জেলাকে লিড দিবে। রাঙামাটি পুরনো জেলা। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সুস্থ্য থাকার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলার মধ্যে নেতৃত্বের গুণ, ডিসিপ্লিন রয়েছে। যা রাষ্ট্রের উন্নয়নে এ মানবিক গুণগুলো কাজে লাগে। খেলার উন্নয়নে যা কিছু করার দরকার তা ক্রমান্বয়ে করা হবে। খেলোয়ারদের উন্নতমানের টয়লেট নির্মাণ করে দেয়া হবে। খেলাধুলার উন্নয়নে জিমনেসিয়ামে বেসরকারি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। আজকের প্রজন্মরা মোবাইলে আসক্ত। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাটমিন্টন টিম তৈরি করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, খেলার খরচ আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বহন করবো।
রাঙামাটি ব্যাটমিন্টন ক্লাবের সভাপতি জয় খীসার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন চাকমার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়ার কিংসুক চাকমা , পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা, রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আফসারসহ খেলোয়ারবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ০৭ জুলাই প্রধান অতিথি থেকে এ পার্বত্য ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। এ টুর্নামেন্টে তিন পার্বত্য জেলার (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) ২৮ জন ব্যাটমিন্টন খেলোয়ার ১৪ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলো রাঙামাটি ব্যাডমিন্টন ক্লাব এবং টুর্নামেন্টের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।