কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে মানব পাচারকারীদের আস্তানা থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৬৬ জন বন্দিকে উদ্ধার করেছে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে ২৩ জন নারী, ২২ জন পুরুষ ও ২১ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা রয়েছেন।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন সূত্রে জানা যায়, নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট টেকনাফ ও কোস্ট গার্ড বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার গহীন পাহাড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়কারী ও বিদেশে পাচারকারীদের গোপন আস্তানায় এই অভিযান চালায়।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক। তিনি বলেন, সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে এলাকা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে লোকজন নিয়ে গহীন পাহাড়ে বন্দি রেখেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এসময় পাহাড়ের চূড়ায় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে নারী ও শিশুসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালীন যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের নিমিত্তে নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চলমান রয়েছে।
উদ্ধারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, সুবিধাজনক কর্মসংস্থান, উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, অল্প খরচে বিদেশ যাত্রা এবং বিনা অর্থে প্রেরণ করে পরবর্তীতে কর্মস্থলে কাজের মাধ্যমে খরচ পরিশোধের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় গমনে উদ্বুদ্ধ করে টেকনাফের গহীন পাহাড়ে গোপন আস্তানায় জিম্মি করে রেখেছিল। পরবর্তীতে পাচারকারীরা তাদের সুবিধাজনক সময়ে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উপকূল হতে বোট যোগে মালয়েশিয়ায় পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল। পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছিল।