সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গা পূজা ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কাউখালী উপজেলা প্রশাসন। চার স্তরের নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে চারটি পূজা মণ্ডপ। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে সার্বক্ষনিক সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে মণ্ডপ সমূহকে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ওয়েস্টবিন ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য টি শার্ট।
পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল সমূহের নিজস্ব ভলান্টিয়াররা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। পার্বত্য অঞ্চলের পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনীর টহলও জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে ট্যাগ অফিসার, মিনিটরিং কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন।
নারী পূর্নার্থীদের কথা মাথায় রেখে পূজা মন্ডপে নারী স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশের নারী সদস্য ও গ্রাম পুলিশের নারী সদস্যদের দ্বারা তীক্ষ্ণ নজদারীর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তবে এবারের পূজার নিরাপত্তায় প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর দৃশ্যমান কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মতো।
পূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সরব উপস্থিতি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের নতুন চিত্র ফুটে উঠেছে। এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর শৃঙ্খলার মধ্যে পূজা উদযাপন করতে পেরে খুশি আগত দর্শনার্থীরাও।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল বিকেল ৫টায় উপজেলা পরিষদ লেকে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজার।
পরিদর্শকালে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিকুর রহমান, কাউখালী থানার ওসি সাইফুর রহমান সোহাগসহ অন্যান্যরা।