মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে আগ্মী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করা সম্ভব। এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরী।
সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে কুষ্ঠরোগীরা চিকিৎসার আওতায় আওতায় আসবে।
মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরের একটি হোটেলে কুষ্ঠরোগ ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন বক্তারা। লেপ্রোসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, সচেতনতার অভাব, কুসংস্কারের কারণে রোগীরা চিকিৎসার আওতায় আসছে না। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এ রোগ নির্মুল করা যাচ্ছে না।
কর্মশালা শুরু আগে কুষ্ঠরোগ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কুষ্ঠ রোগের অবস্থা নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেপ্রোসির মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জীবক চাকমা।
এ সময় তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের যেখানে দুর্গমতা, পুষ্টি এবং স্যানিটেশনের অভাব রয়েছে সেসব এলাকায় কুষ্ঠ রোগের প্রবনতা দেখা যায়। এসব এলাকার মানুষ রোগটি সম্পর্কে যেমনি অসচেতন তেমনি তারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। কুষ্ঠ রোগ যে চিকিৎসায় ভাল হয় সেটা তারা জানে না। সমাজ থেকে বিতাড়িত হবার ভয়ে রোগটির সম্পর্কে তথ্য লুকায়। এদের কুষ্ঠরোগ বললে এরা মনে কষ্ট পায়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যখন রোগের শেষ পর্যায়ে চলে যায় তখন তারা চিকিৎসা নিতে আসে। তখন চিকিৎসায় ভাল হলেও এরা প্রতিবন্ধী হয়ে যায়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রতিবন্ধী ও সেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তা অমরচান চাকমা, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা স্নিগ্ধা তালুকদার, সাংবাদিক হিমেল চাকমা, শিক্ষক আবুল কাসেম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেপ্রোসির পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানেজার পরশ চাকমা।