শুক্রবার , ২২ এপ্রিল ২০২২ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

পাহাড়ে প্রাণ প্রকৃতি ধংসে বিপাকে পড়েছে পাহাড়িরা

প্রতিবেদক
রিজভী রাহাত, বান্দরবান
এপ্রিল ২২, ২০২২ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে কয়েক বছর ধরে কিছু অসাধু চক্র নির্বিচারে প্রকৃতি ধংসে মেতে উঠেছে। প্রতিনিয়ত ঝিরি-ঝরনা থেকে অবাধে পাথর উত্তোলন আর বন জঙ্গল উজাড়সহ নানা রকম প্রতিকূল পরিবেশের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য। এতে খাদ্য তালিকার ছোট আসছে পাহাড়িদের। এতে আমিষ চাহিদা পুরণে বিপাকে পড়েছে পাহাড়িরা। এছাড়া পানির উৎস গুলো ধংস হয়ে যাওয়ায় পানির কষ্ট বেড়েছে বহুগুণ।

পাহাড়ি জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উৎস থেকে। পাহাড়িরা প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ, চিংড়ি, কাকড়া, ব্যাঙ, ব্যাঙাচি, শামুক-ঝিনুক ও বন্য বিভিন্ন প্রাণী শিকার করে আমিষের চাহিদা পুরণ করে থাকে। বিভিন্ন ছড়া ঝর্না বন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করত তাঁরা।

বর্তমানে উজাড় হয়েছে বন। সেই ঝিরি-ঝরনায় পাথর কমে যাওয়ায় পানি উৎস ধংস হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ছড়া ঝর্না মরে যাওয়ায় এসব প্রাণ প্রকৃতি এখন দুর্লভ হয়ে দাড়িয়েছে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন দুর্গম এলাকায় বসবাস করা পাহাড়িরা।

দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড়ি জনগণ তাদের খাদ্যের একটি জোগান আসে ঝিরি-ঝর্না থেকে। বর্তমানে কিছু অসাধু চক্র পাহাড়ের জায়গা দখল করে বন জঙ্গল উজাড় আর খাল ও ঝিরি-ঝরনা থেকে অবাধে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। নির্বিচারে এসব ধ্বংসের কারণে তাদের নিত্যদিনের খাদ্য প্রকৃতি বিলুপ্তির পথে।

প্রকৃতিপ্রেমী বান্দরবান বীর বাহাদুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ডচিংপ্রু বলেন, আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যের তালিকার মধ্যে রয়েছে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ইত্যাদি আর শাক সবজি। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতি থেকে পাওয়া এসব খাদ্য হারিয়ে গেছে। কিছু অর্থলোভী ব্যক্তির দ্বারা সেই প্রকৃতি আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। শত শত বছরের গাছ আর পাথর হারিয়ে যেতে বসেছে পাহাড়ে। এভাবে চলতে থাকলে বান্দরবানের প্রাকৃতিক লীলাভূমির অস্তিত্ব আর থাকবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলন বান্দরবান চ্যাপ্টারের সভাপতি জুয়ামলিয়ান আমলাই বলেন, সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝিরি-ঝরনা ও নদ-নদী পানিশূন্য হওয়ার কারণ মনে করলেও মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যাগুলো এর অন্যতম কারণ। তিনি আরও বলেন, পাথরকে ‘পাহাড়ের প্রাণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও গাছকে সঞ্চালনকারী হিসেবে আখ্যা করা হয়। প্রচলিত আছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর থেকে সর্বনিম্ন ১০০ ফুট গভীর পর্যন্ত পানি শোষণের ক্ষমতা রাখে পাথর। গাছের মূল সেই পানিকে নিজে শোষণের পাশাপাশি মাটির বিভিন্ন স্তরে সঞ্চার করে। প্রাণ (পাথর)-সঞ্চালন (গাছ) না থাকলে নির্জীব মরুভূমি ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। উন্নয়নের নামে অবাধে পাথর উত্তোলন, জোত পারমিটের নামে বৃক্ষনিধন ইত্যাদি ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে পাহাড়ে জীব বৈচিত্র্য হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

হত্যা মামলার পলাতক আসামিও রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৬ বছর পূর্তি উদযাপিত

শীতের আগমনে রাঙামাটি ও সাজেকে পর্যটকদের ঢল

বান্দরবান শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির

কাপ্তাই মন্দিরে হাতির আক্রমন, ক্ষতিগ্রস্ত রান্নাঘর ও বাগান

বাঘাইছড়িতে আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল

বেতবুনিয়া পিএসটিএসে টিআরসিদের প্রশিক্ষণের কুচকাওয়াজ ও সনদপত্র প্রদান 

দুর্গম পাহাড়ে মানবতার আলো-জুরাছড়িতে অসহায় মানুষের হাতে নতুন জীবনের ঘর

গুইমারায় চলন্ত অবস্থায় বিদেশী ব্রান্ডের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

আ.লীগের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রামগড়ে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: