রাঙামাটি শহরের তবলছড়িতে রয়েছে শহরের সবচেয়ে বড় বার্মিজ টেক্সটাইল মার্কেট। যেখানে বিক্রি করা হয় পাহাড়িদের তৈরি হস্তশিল্পের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। সম্প্রতি পর্যটক নির্ভর এ মার্কেটে বেচাকেনায় ধস নেমেছে। অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন এ মার্কেটের বিক্রেতারা।
মার্কেটের রাঙাবী টেক্সটাইলের কর্মচারী ফারজানা সিকান্দার জানান, আগের তুলনায় বেচাকেনা পরিমাণটা অনেক কমে গেছে। পর্যটক যে পরিমাণ আসছে, সে পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে না।
বয়ন টেক্সটাইল মার্কেটের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মার্কেটে বেচাকেনা চলে বাইরে থেকে আসা পর্যটক দিয়ে। কিন্তু এইবার পর্যটক না আসায় কেনাকাটা নেই। দীর্ঘ ৪-৫ মাস ধরে গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের লোকসান।
মোহনা টেক্সটাইল মালিক বিকাশ দাশ বলেন, “ব্যবসা তো বলতে গেলে একেবারে নেই। দোকান খুলে বসে থাকা ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না।”
তনজ্জু মার্কেটের ম্যানেজার জুলেখা চাকমা বলেন, “এখানকার তৈরি জিনিসপত্র দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে। পর্যটক না এলে আমাদের ব্যবসা চলে না। হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ও পোশাক রপ্তানি জন্য মজুদ করেছিলাম। কিন্তু এ মৌসুমে আশানুরূপ পর্যটক না আসায় মালামাল যথেষ্ট পরিমাণে বিক্রি করতে পারছি না। এতে অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি।”
রাঙামাটি বার্মিজ টেক্সটাইল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাঙামাটি পর্যটক তেমন আসছেন না। আমাদের ব্যবসায় সম্পূর্ণ পর্যটক নির্ভর। পর্যটক না আসায় বেচাকেনা কিছুই নেই। লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। এসব কারণে রাঙামাটি বার্মিজ টেক্সটাইল মার্কেটে ব্যবসার চরম ধ্বস নেমেছে। এ টেক্সটাইল মার্কেটে শতাধিক দোকানে কর্মচারী রয়েছেন চার শর মতো। বর্তমানে এসব দোকানদার ও কর্মচারীরা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিসিক রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ বছরের সরকার থেকে কোনো ধরনের প্রণোদনা বা অনুদানের ব্যবস্থা আমাদের আসেনি। যদি এ ধরনের কোনো প্রণোদনা বা অনুদান আসে, তাহলে অবশ্যই তারা পাবে।