রাঙামাটির লংগদুবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল উপজেলায় একটি ফায়ার স্টেশন হোক। সে প্রত্যাশা পূরণ করেছে সরকার। উপজেলার মানুষ প্রত্যাশা করেছি জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এর উদ্বোধন হবে। কিন্তু সেটি হয়নি।
আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনটি চালু করা হয়।
লংগদু উপজেলার ফায়ার সার্ভিস চালু করে দেন রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম।
এদিকে নতুন ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন পেয়ে লংগদুবাসী অত্যন্ত খুশিঃ কিন্তু আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এত বড় একটি কাজ চালু করা হলো এতে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়,একজন সাব-অফিসারসহ মোট-১২জনবল,২টি নতুন পাকা ভবন ও ২টি নতুন গাড়ি দিয়ে লংগদু ফায়ার সার্ভিসের যাত্রা শুরু হলো।
পর্যাক্রমে এর পরিধি বাড়বে। তবে এব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারেনি রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস জানান,এ বিষয়ে ভাল জানবেন রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগ।
রাঙামাটি সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম মুঠোফোনে বলেন,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি নিজে গিয়ে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই লংগদু ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন চালু করে দিয়েছি।
পরে দিন তারিখ নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কাউকে দিয়ে উদ্ধোধন করা হবে।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিদ্য কৌশলকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি সন্ধ্যার পরে লংগদু ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন নির্মানে কত লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে তার তথ্য দেবে বলে পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেনি।