বুধবার , ১২ এপ্রিল ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বিজু ফুলে রঙিন হল কাপ্তাই হ্রদ

প্রতিবেদক
রিকোর্স চাকমা, রাঙামাটি
এপ্রিল ১২, ২০২৩ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে বাংলার পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে রাঙামাটির পাহাড়ি জনগোষ্ঠী।

বুধবার(১২ এপ্রিল)ভোরে রাঙামাটি রাজবনবিহার ঘাট, গর্জনতলী, ডিসি বাংলো, কেরানি পাহাড় এলাকা, পলওয়েল, আসামবস্তি সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় নানা বয়সের নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে কলা পাতায় ফুল সাজিয়ে পুরোনো বছরের সব দুঃখ, কষ্ট ও গ্লানি দূর করে নতুন বছর যাতে সুখ শান্তিতে কাটানো যায় সে উদ্দেশ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসানো হয়।

এছাড়া ফুল সংগ্রহ করে সাজানো হয় বাড়ির আঙিনা। সন্ধ্যায় বৌদ্ধ মন্দির, নদীর ঘাটে ও বাড়িতে জ্বালানো হয় প্রদীপ। যুগ যুগ ধরে এই উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা।

চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করে এই উৎসব।

উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে এবং পবিত্র এই ফুল ভাসিয়ে দেয় পানিতে, তাই একে বলা হয় ফুল বিজু। পানিতে ফুল ভাসিয়ে বিশ্ব শান্তির মঙ্গল কামনায় গঙ্গা দেবী’র নিকট প্রার্থনা করেন।

ভোরের কেরানি পাহাড় এলাকায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে ফুল বিজুর উদ্বোধন করেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রনেল চাকমা সহ অন্যান্যরা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন বলেন, উৎসবে উৎসবে পাহাড় এখন যেন রঙিন হয়েছে। পাহাড়ের এই উৎসব বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সম্মৃদ্ধ করেছে। পাহাড়ের এই রঙিন উৎসব দেশে অন্য কোথাও দেখা মিলে না।

ফুল বিজুর দিনে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম দিয়ে বয়ে চলা চেংগী, মেইনি, কাচালং, কর্ণফুলীসহ পাহাড় থেকে নেমে আসা ছড়াগুলোতে ফুল ভাসায় পাহাড়িরা।

আগামীকাল বিজু উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু। এই দিনে বাড়িতে বাড়িতে রান্না করা হয় পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবার “পাজন” সহ বিভিন্ন ধরণের খবার দাবার আগত অতিথের পরিবেশন করা হয়। এর পরের উৎসবের তৃতীয় উৎসবের দিন হচ্ছে গজ্যাপজ্যা বিজু বা নববর্ষ উৎসব ওই দিনে বিশ্ব শান্তির কামনায় মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করা হয়।

আগামী ১৫ এপ্রিল কাপ্তাইয়ের চিংম্রং বিহার মাঠে ও ১৬ এপ্রিল রাজস্থলী বাঙালহালিয়ায় জেলার সবচেয়ে বড় জল উৎসবের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: