ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাঙামাটিতে ভারীবর্ষণের আশংকা রয়েছে। এদিকে গতরাত থেকে রাঙামাটি জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে রুপ নিচ্ছে আকাশ। বেলা যতই বাড়ছে ততই বৃষ্টির গতিবেগ বাড়তে শুরু করছে।
রবিবার সকাল থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জনগণকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দেওয়ার সাথে সাথে পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছে তাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, তাদের কাছে আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে জরুরি সংবাদ এসেছে রাঙামাটিতে বৃষ্টি ও ভারী ভর্ষণ হতে পারে এতে পাহাড় ধ্বংসের আশংকা রয়েছে।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার ক্যাসিনো মারমা জানান, সোমবার থেকে বৃষ্টি ও ভারী ভর্ষণের আশংকা রয়েছে। এজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। রাঙামাটিতেও ঝুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। যে কেউ চাইলে ওই সব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ঘুর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতি ঠেকাতে আমাদের সকল ধরনের প্রস্ততি রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ কমিটি নগদ ১৫ লক্ষ টাকা মজুত রেখেছে। এছাড়াও ৫শ’ বান্ডিল ঢেউ টিন, ৩শ’ কম্বল ও ২শ’ তাবুসহ ২৫০ মেট্রিক টন চাউল মজুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ঘুর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের চিঠির অনুকূলে ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সকল ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি। এই উপলক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা শহরে ও প্রত্যেক উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের প্রস্তত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।