খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা’র) খাগড়াছড়ি কেন্দ্রের উদ্যোগে পাহাড়াঞ্চল উপযোগী উচ্চ ফলনশীল বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাতসমূহের পরিচিতি, চাষাবাদা পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে রামগড় হর্টিকালচার সেন্টারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ির সহযোগিতায় ও বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অর্ধ শতাধিক কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
রামগড় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিনা উদ্ভাবিত আমন ধান সম্পর্কে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিনা’র মহাপরিচালক ময়মনসিংহ ড. মো: আবুল কালাম আজাদ।
খাগড়াছড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, খাগড়াছড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: বাছিরুল আলম, রামগড় হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ শাহ্ মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অং সিং মারমা সহ প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে বিনার বিজ্ঞানীগণ ও কৃষি কর্মকর্তাগণ বলেন, বিনা উদ্ভাবিত আমন বিনাধান-১৭ জাতের উচ্চ ফলনশীল ও প্রিমিয়ার কোয়ালিটি সম্পন্ন একটি ধান। কম সময়ে বেশি ফলন ও ভাল দাম পাওয়া যায়। এই ধানের রোগবালাই কম, প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৭ মে.টন থেকে সাড়ে ৮ মে. টন ফলন হয়। এই ধানের চাল চিকন ও খেতে অনেক সুস্বাদু। এই ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কারণ এই ধানের বীজ সংরক্ষণ করা যায় এবং চাল বিদেশে রপ্তানী করা যায়।