হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
বন বিভাগ পাহাড়ের বন রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সে জায়গা সাধারণ মানুষ বন রক্ষায় সফল হয়েছে। সাধারণ মানুষের বন রক্ষিত আছে কিন্তু বন বিভাগের বন রক্ষিত নেই। বন বিভাগের সব বন অনেক আগে উজাড় হয়েছে। এখন যেসব বন চোখে পড়ে এগুলো ব্যাক্তি মালিকানা বন। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পাহাড়ের মানুষকে বন রক্ষার কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। না হলে বন রক্ষা হবে না। কথা্গুলো বলেছেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ভিলেজ কমন ফরেস্ট (ভিসিএফ) কমিটির পুনর্গঠন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চাকমা রাজা।
এ সময় তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট ৪২১ টি ভিসিএফ রক্ষা করছে সাধারণ মানুষ। এসব বনে গাছ-বাঁশ, বন্যপ্রাণীর বিচরণ আছে। পানির স্তরগুলো রক্ষিত আছে। এগুলো রক্ষা করতে হবে।
দেবাশীষ রায় আরো বলেন, সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে বন রক্ষা করা যাবে না। সাধারণ মানুষকে বুঝাতে হবে মানুষের জন্য বন। বন বিভাগ বন রক্ষায় জেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ভিসিএফ নিয়ে একটি মহলের ভ্রান্ত ধারণা আছে। মহলটি মনে করে ভিসিএফ শুধু পাহাড়িদের স্বার্থ রক্ষা করে। এ ধারণা রাখা ঠিক নয়।
সারা বিশ্ব জলবায়ু নিয়ে ভাবার আগে পাহাড়ের মানুষ ভেবেছিল। এ ভাবনা থেকে তারা নিজেরা স্ব উদ্যোগী হয়ে বন রক্ষা করেছে। তার ফল ভিসিএফ। পাহাড়ের মানুষ জানে বন থাকলে পানি থাকবে। পানি থাকলে জীবন বাঁচবে। কারণ পাহাড়ি মানুষের সাথে বনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন ভিসিএফ শুধু পাহাড়িদের স্বার্থ রক্ষা করবে না এটি দেশের সমগ্র পরিবেশ রক্ষায় ভুমিকা রাখছে। আগামীতেও রাখবে। এজন্য এসব বন রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক ঐশর্য খীসা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য সুবীর কুমার চাকমা, সিএইচটি ভিসিএফ নেটওয়ার্ক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি থোয়াই অং মারমা,সহ সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমাসহ তিন পার্বত্য জেলা থেকে আগত ভিসিএফ কমিটির সদস্যরা।