দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নিজ এলাকায় মাদকদ্রব্য ও ব্যবসার নামে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লুটপাট এবং পরকিয়া প্রেমে অন্যের সংসার ভেঙে মেয়েদের সাথে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের ইয়ারাংছড়ি ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার রুস্তম আলী ওরফে রুপ চান মেম্বারের বিরুদ্ধে।
দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসীরা জানান, রুস্তম আলী রুপ চান মেম্বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দিয়ে, এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই নানান রকম হুমকি ধামকি দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়াও তিনি ব্যবসার নামে তামাকের উপর ধাদন টাকা লাগিয়ে অবৈধ ভাবে কোটি টাকা উপার্জন করে। এমন অভিযোগ ওই এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সমাজসেবক, বাজার কমিটি ও শিক্ষিত সমাজ নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পরকীয়া করে অন্যের সংসার ভাঙ্গছে। তার দুই স্ত্রী থাকা সত্বেও তিনি আরো একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। যাহা স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অন্তরে আঘাত লেগেছে ।
অভিযোগে বলা হয়, তিনি ইউপি সদস্য হিসেবে সাধারণ মানুষকে ভিজিডি কার্ড সহ বিভিন্ন সরকারী সহায়তা দেওয়ার নামে গ্রামের অবহেলিত মানুষ থেকে অসৎপথ অবলম্বন করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। লম্পট এবং চরিত্রহীন মেম্বারের পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত আমরা আইনী ভাবে তার বিরুদ্বে লড়ে যাবো। সে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে আমাদের গ্রামের সহজ সরল মানুষদের দীর্ঘ দিন যাবৎ অন্যায় অত্যাচার করে আসছে।
এলাকাবাসী বলেন, উপরোক্ত বিষয়ে শীঘ্রই আমরা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করবো এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারক লিপি দেব। এছাড়াও লংগদু জোন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটও বিচার প্রার্থনা করবো।
অভিযুক্ত রুস্তম আলী রুপ চান মেম্বার জানায়, উপরোক্ত মাদকসহ অর্থ কেলেঙ্কারি বিষয় গুলো মিথ্যা। মেয়ে কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই আপত্তিকর ছবি গুলো ২০১২/১৩ সালের। তখন আমরা এলাকার অনেকে মিলে আনন্দ ভ্রমণে যাই। এবিষয়ে তিনি আরো বলেন, এমন কোন কিছু আমি করিনা। আমার বিরুদ্ধে মানুষ অপপ্রচার করছে।
আটারকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা বলেন, রুস্তম আলী মেম্বার সম্পর্কে কিছু তথ্য আমি চেয়রাম্যান হিসেবে আমার নিকট আসছে। তার মধ্যে মেয়ে কেলেঙ্কারি মেয়ে লোভী বিষয়টি বারবার আসছে। তিনি বলেন আমার হাতে এখনো লিখিত অভিযোগ আসেনি, আসলে পরিষদের পক্ষ হতে ব্যবস্থা নিবো।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, যেহেতু আমাদের হাতে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি, আসলে আমাদের যদি ব্যবস্থা নেওয়ার মত অপরাধ থাকে তাহলে আমরা দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
লংগদু উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) কফিল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নাই। তবে অভিযোগ পেলে তারঁ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।