গত ১৬ আগষ্ট থেকে শুরু হওয়া টানা ৫ দিনের মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেশ কিছু অংশের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে খোলা হয়েছে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া সাজেকের বাঘাইহাট- মাচালং সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে খাগড়াছড়ি -দীঘিনালা সড়কের কবাখালি নামক স্থানটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ২০ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকাল থেকে বাঘাইছড়ির সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা ৫ দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাচালং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম আতংক।
এর আগে এবছর ঘূর্ণিঝড় রিমেল ও মৌসুমী প্রভাবে সৃষ্ট মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো ৩ দফায় প্লাবিত হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হন হাজার হাজার মানুষ। প্রথম ধাপে গত ২৮ মে পাহাড়ি ঢলে ৮টির অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে গত ২৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সাপ্তাহব্যাপী টানা বর্ষণে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদসহ ওই এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। যেখানে উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার পরিবার বন্যায় কবলিত হয়। এবং সর্বশেষ গত ৩ আগষ্ট টানা ৪ দিনের মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে ৩য় দফায় বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত না হলে যেভাবে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করছে তাতে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল সহ অনেক গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখনই মানুষের অশান্তির সীমা নেই। জন দুর্ভোগে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। গরু ছাগল হাস মুরগি, বৃদ্ধা ও রোগিদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ মোকাবেলায় রাঙামাটি জেলায় ২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তার মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলাতে ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে এখনো কোন লোক উঠেনি।