উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাঘাইছড়ি, লংগদু ও বরকল উপজেলা থেকে নেসে আসা বন্যার পানিতে জেলা সদরের মধ্যে বেশ কিছু গ্রামে পানি উঠেছে। গত ১০-১২ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে জেলার নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে ভরপুর হয়ে সে পানি ধীরে ধীরে উপর থেকে নিচের দিকে আসতে শুরু করে। যেমন- বাঘাইছড়ি, সাজেক, লংগদু ও বরকলের বন্যার পানি এসে কাপ্তাই হ্রদ ভরে গেছে, ওই পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলা সদরের বেশ কিছু নিন্মঞ্চল ডুবে গিয়ে মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠতে শুরু করছে।
সদর উপজেলার আসামবস্তী সড়কে পানি উঠেছে। আসামবস্তী, লম্বিনী, রির্জাভ বাজার নিচু এলাকা, তবলছড়ি নিচু এলাকা, হ্যাচারি পাড়া, নতুন মুসলিম পাড়া, শান্তি নগর নিচু এলাকা, লিচু বাগান, শরিয়ত পুর, ইসলামপুর, পর্যটন এলাকা, বালুখালী, বন্দুকভাংগা সহ আরো বেশ কিছু নিন্মঞ্চল। এদিকে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে ফিসারি বাঁধ। এই এলাকার লোকজন পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে অভিযোগ করে বলছে, তাদের কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। অনেকে পানির ভয়ে বাড়ি ঘর ফেলে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন থেমে থেমে বাঁধের পানি ছাড়তে শুরু করছে। তবে অতি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে প্রতিদিনই হ্রদের পানি বাড়ছে। বুধবার সকাল থেকে রাঙামাটিতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে হ্রদের পানি বাড়তে পারে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রশাসন জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে দেড় মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে ৯শ’ জনকে এই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। সদর উপজেলার মধ্যে যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারা অনেকেই কোন খাদ্য সহায়তা বা ত্রাণ সামগ্রী পাননি।