মঙ্গলবার , ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে ছয় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: একাডেমিক কার্যক্রম ও হোস্টেল নিষিদ্ধ

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
জানুয়ারি ২৮, ২০২৫ ৬:৪২ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় নেতাকে একাডেমিক কার্যক্রম ও ছাত্রাবাস থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একজনকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে এবং বাকি পাঁচজনকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া।

জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সারা দেশব্যাপী কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুলাই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করলে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতায় বহিরাগতরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে এই হামলার ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ২৬ জানুয়ারি সিট বরাদ্দ কমিটির সমন্বয়ক ডা. হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী এক নোটিশে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকে বহিষ্কারের আদেশ দেন।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আয়াত শরীফকে দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে এবং স্থায়ীভাবে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিক্রম আদিত্য চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, সৃজন কান্তি দে, অভিজিৎ কুমার বৈদ্য এবং সিং সিং এ মংকে তিন মাসের জন্য ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে সহিংস ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অধ্যক্ষ ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া জানিয়েছেন, শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এবং ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতি ও হামলার সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: