কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শিল্পনগরী ইসলামপুরে খালের পাড় দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালের পাড় দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে ক্রমশ ছোট হয়ে খালটিতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হবে। নৌ চলাচল ও লবণ পরিবহনে পড়বে ভাটা ও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর লবণঘাটের খালটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ২শ মিটার। দীর্ঘ সময় ধরে পন্য পরিবহন ও যাতায়াতে এই খালটি ব্যবহার করতেন এলাকাবাসী। অনেক সময় যাবত খালটি খনন না হওয়ায় এখন লবণ পরিবহন কাজে ছোট বড় বোট চলাচলে চরম ব্যবহৃত হচ্ছে।
সম্প্রতি সময়ে শাহ্ মজিদিয়া লবণ মিলের সামনে খালের পাড়ে রাতারাতি দোকান নির্মাণ করছে ইউনিয়নের ধর্মেরছড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম, নুরুল আবছার গং। তাদের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানা ও ইউএনও বরাবর অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগের পর থানা পুলিশ দুদফে অভিযান চালায়। এসময় অবৈধ স্থাপনা কাজ বন্ধ করে ২ জন কে আটক করে। পরে মুচলেকা নিয়ে ছাড় দেয়। পুলিশী অভিযানের পর দখলদারের শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সুযোগে মাটি ভরাট করে পুনরায় দখলের মহোৎসব চালায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আবদু রহিম-নুরুল আবছার স্থায়ীভাবে টিনের ছালা দিয়ে স্থাপনা করেছেন। এভাবে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে খাল ও খালের পাড় ক্রমশ ছোট হয়ে স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হবে, এমনটা আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন কায়সার বলেন, উপজেলার ইসলামপুর শিল্প এলাকার নৌ পরিবহন, লবণ পরিবহন ও পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। ফলে রাস্তার পাশে খালের পাড় দখল হলে চলাচলে চরম ব্যাহত হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরফ আলী ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, খালের বাঁধঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দখল করে ইতোপূর্বে টংঘর দোকান, অফিস স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সুযোগ বুঝে স্থানীয় সুবিধাবাদী লোকজন ব্যক্তি স্বার্থে এসব স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না প্রশাসন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদু রহিম বলেন, খালের পাড়ের সঙ্গেই আমার রেকর্ডীয় জমি আর এটি সিকিস্তি জায়গা, আমার স্থাপনার কিছু অংশ খালের মধ্যে সামান্য পড়তে পারে।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চকমা বলেন, ঘাট এলাকায় এক ব্যক্তির বিরূদ্ধে খালের জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নিতে সহকারী কমিশনার ভুমি (ঈদগাঁওকে) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।