টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটানা বর্ষণে শহর থেকে গ্রাম, রাস্তা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সব জায়গায় পানি আর পানি।
বিশেষ করে হ্নীলা, হোয়াইক্যং, নয়াপাড়া, উনচিপ্রাং, লেদা ও মুছনী কুতুপালং, বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পাহাড় ঘেঁষা বসবাস করায় ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে পাহাড়, ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো বড় দুর্ঘটনা।
কৃষি ও দিনমজুরের বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে জীবিকা। মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা পানিতে ডুবে আছে মাছ চাষের প্রজেক্ট , ক্ষেত-খামারে কাজ করতে পারছে না কৃষকরা। বাজারগুলোতেও কমে গেছে ক্রেতার সংখ্যা।
স্থানীয় আবদুল্লাহ আল সম্রাট বলেন, “ঘর থেকে বের হওয়া তো দূরের কথা, সুর্যের দেখা নেই, রাত দিন বৃষ্টি এমন অবস্থায় চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছে। নালা-নর্দমা বন্ধ, আমতলি কিছু রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকেই পাহাড় ঘেঁষে থাকেন, তারা দিনরাত আতঙ্কে আছেন।
স্থানীয় শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, বাড়ির পাশে জমে থাকা পানিতে খেলতে গিয়ে শিশু তলিয়ে যাওয়া ঘটনা ঘটেছে হ্নীলায়। চাষের জমিতে পানি আর পানি, চলাচলের নালাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও কোমরসমান পানি জমে গেছে।
দিনমজুর, কৃষক, দোকানি সবার আয়-রোজগার বন্ধ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন।এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরানো, নালা-ড্রেন পরিষ্কার, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এবং খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।