পার্বত্য জেলা গুলো থেকে উঠে আসা খেলোয়ারেরা বর্তমানে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে চিনিয়ে দিচ্ছে নতুন করে, গর্বিত করছে পুরো দেশ ও জাতিকে। তেমনি অনেক প্রতিভাবান খেলোয়ার এখনো রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে লুকায়িত, যাদের খুঁজে বের করতে পারছে না কিংবা সেই প্রতিভাবান নিজেদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারছে না পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও মাধ্যমের অভাবে।
প্রভিভা অন্বেশনে প্রত্যন্ত এলাকা পাহাড়ি জনপদ মহালছড়িতে নতুন দিগন্তের সূচনা করলো ‘স্বপ্ন বিলাশ স্পোর্টিং ক্লাব’। খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাব ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। খেলাধুলা ভিত্তিক “স্বপ্ন বিলাশ স্পোর্টিং ক্লাব”-এর আয়োজনে শত শত ক্ষুদে খেলোয়াড় নিয়ে জমজমাট পরিবেশে শুরু হয়েছে ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
শুক্রবার (১ আগষ্ট ) মহালছড়ির মিনি স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে ক্লাবটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ আয়োজনে অংশ নেয় খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও গুইমারা উপজেলা সহ রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলা থেকে আগত তিন শতাধিক ক্ষুদে খেলোয়ার, যারা নিজেদেরকে পাহাড় পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে ভবিষ্যতের ফুটবলার বা ক্রীড়াবিদ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নে বিভোর।
মহালছড়ি খেলোয়ারদের নিয়ে শুরু হওয়া প্রথম স্পোটিং একাডেমি ৬-১০ বছর, ১১-১৪ বছর এবং ১৫-১৮ বছর বয়সীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দিবে। দেশের ফুটবলের পাইপলাইন আরো বেশি শক্তিশালী করতেই তাদের এই পরিকল্পনা।
এ বিষয়ে স্বপ্নবিলাশ স্পোর্টস একাডেমির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ সাগর জনকণ্ঠ কে বলেন, মূলত প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় অন্বেষণ। তাদেরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করা। নিয়মিত দক্ষ প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। খেলাধুলার পাশাপাশি নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও দলগত মানসিকতা গড়ে তোলা এই একাডেমির মূল উদ্যোশ। সে জন্য সর্বস্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্থানীয়রা জানান, এই ক্লাবের মাধ্যমে নতুন একটি ক্রীড়াচর্চার জোয়ার বইবে মহালছড়িতে। এই একাডেমি’ শুধু একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নয়, এটি একটি আশা ও স্বপ্নের নাম যা পাহাড়ের বুক থেকে একদিন দেশের জন্য গর্ব করার মতো খেলোয়াড় তৈরি করবে।
উপজেলা ক্রীড়া এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা এমন একটি একাডেমি হয়েছে শুনে আনন্দিত,প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেলোয়ার জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে এই ক্লাবটি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। সেই সাথে যদি কোন সুযোগ থাকে তো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।