রাঙামাটি শহর হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করে জেলা যুবলীগ নেতা মিজানকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মিজান রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ি কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি ছিলেন।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহেদ উদ্দিন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে রাঙামাটি শহরের বনরূপা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশে জানিয়েছেন, মিজান গ্রেফতারের পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত পতিত সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে সার্বক্ষনিকভাবে যোগাযোগ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিষয়টি তার মুঠোফোনের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। কোতয়ালী থানা পুলিশ জানিয়েছেন, মিজানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তারা তদন্ত করে দেখছেন।
এছাড়াও মিজানের আয়ের উৎস নিয়েও খোঁজ নিচ্ছে আরেকটি সংস্থা। যুবলীগ নেতা মিজান সাবেক মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী যোগসাজশে শহরের বনরুপাস্থ হ্যাপীর মোড় এলাকায় ডেবার জমি দখলনকরে কয়েক কোটি টাকার অবৈধ বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণ চলছে। সে মেয়রের কালো টাকা সাদা করছে। মিজান ছিলেন, সামান্য একজন পালিশ মিস্ত্রি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয় মিজান। পতিত সরকারের আমলে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি ও দখল সিন্ডিকেট ছিল তার নিত্যদিনের সাথী।
আটকের পর তার মুঠোফোন চেক করে জানাযায় সে রাঙামাটির সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধূরীর সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতো এবং মিজান ইতোমধ্যেই পাসপোর্ট ভিসা করে দেশ ত্যাগের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলো এমন তথ্যও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ।